Image

শ্যামনগরে সড়ক ও জনপদের জায়গা বেদখল, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ দায়সারা!

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সড়ক ও জনপদের অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদের নামে দায়সারা ও পুনরায় সরকারি জায়গা বেদখল হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।

 

কর্তৃপক্ষের নীরবতায় অবৈধ দখলকারীরা অবৈধদখল জোরে সরে বিভিন্ন কৌশল অব্যহত রেখেছে এবং সরকারি জায়গারজবর দখল করছে। স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ, সম্প্রতি সড়ক ও জনপদের জায়গা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে দায়সারা কাজ করায় অনেক বিত্তশালীরা তাদের অবৈধদখল কৃত জায়গা ও স্থাপনা রক্ষা করতে পারলেও অসহায় পরিবার গুলো শেষ সম্বল বাস্তভিটা হারিয়ে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। সরকারি জায়গায় কোন রকম ঘরের চাল তুলে পরিবার নিয়ে অনেকে বসবাস করত। রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য সড়ক ও জনপদের দানব আকৃতির ভেকু মেসিন তাদের ঘর ভাঙলেও সরকারি সড়ক ও জনপদের সকল স্থাপনা অপসারন করা না হওয়ায় প্রশ্নবিদ্ধ দেখা দিয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করার লক্ষ্যে দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেও ২ দিনেই অভিযান করে এখন অভিযান বন্ধ থাকায় পুনরায় সবাই সে সব জায়গা আবার অবৈধ দখলে রেখে ব্যবসা শুরু করেছে। এ সব দায়সারা বা নাম কা ওয়াস্তে উচ্ছেদ অভিযান বা বেদখল হাস্যকর সৃষ্টি হয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযানে সহায় সম্বলহীনদের একমাত্র আশ্রয় স্থল ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হলেও ভাঙা হয়নি অনেক প্রভাবশালীদের স্থাপনা। শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের পাকা প্রাচীর গেট, জোবেদা সোহরাব মডেল হাই স্কুলের গেট, আতরজান মহিলা ডিগ্রী কলেজের গেট ঊচ্ছেদ করা হলেও  পেঙ্গুইন বা ক্রিমসন রোজেলা সীফুড লিঃ নামের একটি প্রতিষ্ঠান, সানবিন্স কেজি স্কুল গেট  বা রাস্তার উভয় পার্শ্বে ও শ্যামনগর প্রধান ফটক চৌরাস্তার পশ্চিম দিকের সহ একাধিক স্থাপনা যথাযথ উচ্ছেদ করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটির দুই পাশের স্থাপনায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের সার্ভেয়ারের লাল দাগ দেয়া ক্রস চিহ্ন পর্যন্ত ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ ক্রিমসন রোজেলা সীফুড লিঃ এর বিল্ডিংটির ১২ ফুটের মত সরকারি জায়গার মধ্যে থাকলেও বিল্ডিংটিতে একটি আঘাত ও করা হয়নি এবং কোন লাল চিহ্ন দেখা যায়নি।

 

সড়ক ও জনপদ বিভাগের সার্ভেয়ার মো: সোহেল রানা বলেন "রাস্তার দুই পাশের সরকারি জায়গায় কোন স্থাপনা থাকবে না। যে পর্যন্ত ভাঙা হবে লাল দাগ দিয়ে সে পর্যন্ত চিহ্ন করে ভাঙা হলেও তা মানা হয়নি। ক্রিমসন রোজেলা সীফুড লিঃ এবং জামান ট্রেডার্সের মত বড় প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিংএর অবৈধ অংশ ভাঙতে সময় দিয়ে গরীবের শেষ আশ্রয়স্থল ভেঙে দেয়ার বিষয়ে সময় দেয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যাত।

 

এদিকে সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর কর্মকর্তাদের এমন দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ শ্যামনগরের সাধারন মানুষ। সরকার উন্নয়নের জন্য রাস্তার দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা শ্যামনগরবাসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও  সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর কর্মকর্তাদের এমন বৈষম্য মূলক আচরন সবাইকে ব্যথিত করে তুলেছে।

 

স্থানীয়রা জরুরী ভিত্তিতে সড়ক ও জনপদের জায়গা দ্রুত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্থায়ী ভাবে রাস্তার উভয় পার্শ্বে সীমানা পাকা প্লিয়ার স্থাপন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন শ্যামনগরের সচেতন মহল।