Image

নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বিএনপি থেকে চিরতরে বহিষ্কার: সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকে : আসন্ন উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সকল নির্বাচন বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করলে বিএনপি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হবে। সে যে পর্যায়ের নেতাই হোক, তাকে কোনভাবে দলে স্থান দেয়া হবেনা। এমন হুশিয়ারির মাধ্যমে সতর্ক বার্তা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় দু নেতা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নীলফামারীর সৈয়দপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সকল নির্বাচন বর্জনের দাবীতে লিফলেট বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত সাংগঠনিক সভায় এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) মো. আব্দুল খালেক ও জাহাঙ্গীর আলম। 
বেলা ১১ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত শহরের শহীদ ডা.জিকরুল হক সড়কস্থ  জেলা বিএনপি কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান ও বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ওই দুই নেতা এমন হুশিয়ারী দিয়ে দলের সকলস্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অতীতের মত ছাড় দেয়ার আর কোন সুযোগ নাই দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের। এবারও যারা প্রার্থী হয়েছেন তাঁরা হাই কমান্ডের নির্দেশনা মেনে নিয়ে আন্দোলনের ধারায় ফিরে আসুন। নয়তো দল আপনাদের ছাড় দিবেনা। থাকবেনা কোন দলীয় পরিচয়, একুল ওকুল সব হারাবেন। তাই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে এই অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আন্দোলনে সক্রিয় হোন। সাংগঠনিক সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার। জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর শাহীন আকতা শাহীনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য বলেন , জেলা বিএনপির সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম জনি, প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, সামসুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু, কোষাধ্যক্ষ আবিদ হোসেন লাড্ডান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম লোকমান,সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ বাবলু ওলামা দলের সভাপতি ক্বারী মকসুদ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা, উপজেলা, পৌর এবং কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় দলের সকল সিদ্ধান্ত মেনে চলাসহ আন্দোলন সংগ্রামে একসাথে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন নেতাকর্মীরা। সভায় সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দেয়া জেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক-৪ আরফান সরকার রানার প্রসঙ্গ উঠলে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। অনেকেই রানার পক্ষ অবলম্বন করে নির্বাচন করার যৌক্তিকতাও তুলে ধরেন। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা দলের হাই কমান্ডের নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দেন এবং রানার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের আহবান জানান। নয়ত অবশ্যই বহিষ্কার করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। সভা শেষে কেন্দ্রীয় দুই নেতার নেতৃত্বে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক ও শহীদ জহুরুল হক সড়কসহ অন্যান্য সড়কে দোকানদার, পথচারি ও যানবাহন চালকদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় তারা জনগণকে এই সরকার ও তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সকল নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।