Image

ঢাবিতে বিশ্ব দর্শন দিবস পালিত

“বৈশ্বিক সহযোগিতায় দর্শন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিশ্ব দর্শন দিবস-২০১৯ পালন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ, গোবিন্দ দেব দর্শন গবেষণা কেন্দ্র, নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্র এবং দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, সেমিনার, স্মরণিকা প্রকাশ, দর্শন বিতর্ক প্রতিযোগিতা প্রভৃতি। দিবসটি উপলক্ষ্যে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি এবং কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

উপাচার্য আখতারুজ্জামান দর্শনের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উদার, অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'দর্শন মানুষকে সত্যনিষ্ঠ হতে শেখায় এবং সত্য উদঘাটনে সহায়তা করে। কুসংস্কারমুক্ত সমাজ গঠনেও দর্শনের ভূমিকা অপরিসীম। অন্যের ক্ষতি না করা এবং মানুষের কল্যাণ কামনা করা দর্শন শিক্ষার মূল উপজীব্য।'

দর্শনের শিক্ষাকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে ব্যক্তি, পরিবার তথা সমাজ জীবনে চলমান নানা সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন উপাচার্য।

আলোচনা সভায় দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মতিউর রহমান প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে “আধুনিক প্রতীচ্য নন্দনতত্ত : উৎপত্তি ও স্বরূপ বিচার” শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন নৈতিক উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. হারুন রশীদ।

এছাড়া, দর্শন বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা রহমান চৌধুরী বাবলী ও ঢাকা কলেজ দর্শন বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ফাতিমা জোহরা বক্তব্য দেন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব দর্শন দিবসের ঘোষণা দেয়। ২০০৫ সালে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে প্রতিবছর নভেম্বর মাসের তৃতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্ব দর্শন দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ফলে নিয়মিতভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ব দর্শন দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

মানবকণ্ঠ/এইচকে