Image

শক্তি এবং দুর্বলতা

একটি কোম্পানির কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার পদে দু’জন প্রার্থীকে ইন্টারভিউতে জিজ্ঞেস করা হলো তাদের শক্তি ও দুর্বলতা কী কী? এ প্রশ্নের উত্তরে শিশির বলেন ‘আমি কঠোর পরিশ্রমী। এটাই আমার শক্তি। আর আমার দুর্বলতা হলো নির্ধারিত সময়ে কোনো কাজ করতে না পারলে আমি মানসিক চাপে ভুগি।’ এখানে এই উত্তরটি মানানসই নয়।

কারণ বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের কঠোর পরিশ্রমী ভাবেন। আরেক প্রার্থী রুবেল বলেন, ‘আমি আমার কোনো দুর্বলতা খুঁজে পাই না। হয়তো আমার আরো দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। সম্ভবত আমার শক্তি হলো অন্যদের সঙ্গে কাজ করার সক্ষমতা। সহজে আমি সবার সঙ্গে মিশতে পারি। সহজে হতাশ হই না আমি।’ এই উত্তরটিও সঠিক নয়। কারণ উত্তরটি নেতিবাচক ও কিছু অস্পষ্ট শব্দ যেমন- হয়তো এগুলোর উপর নির্ভরশীল। তাহলে এ প্রশ্নের কোন উত্তর সবচেয়ে উপযুক্ত? তা জানতে হলে আপনার শক্তি আর দুর্বলতাগুলো জানতে হবে আগে।

নিজের শক্তিমত্তা : শক্তিমত্তা জানতে হলে আগে নিজের দক্ষতাগুলো পর্যবেক্ষণ করুন। ইন্টারভিউয়ের আগে চর্চাটা বেশ জরুরি। তিনটি ক্যাটেগরিতে নিজের দক্ষতার তালিকা করুন।

জ্ঞান ভিত্তিক দক্ষতা : পড়াশোনা ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে (যেমন- কম্পিউটার দক্ষতা, বিদেশি ভাষা জানা, নতুন ডিগ্রি নেয়া, প্রশিক্ষণ ও টেকনিক্যাল জ্ঞান) অর্জিত দক্ষতা কি আছে তা জানুন।

অভিজ্ঞতালব্ধ দক্ষতা : আপনি এক অফিস থেকে আরেক অফিসে কাজ করার ফলে যে সব অভিজ্ঞতালব্ধ দক্ষতা (যেমন- যোগাযোগ দক্ষতা, বিশ্লেষণভিত্তিক সমস্যা সমাধান ও পরিকল্পনা দক্ষতা) অর্জন করেছেন সে সব বিষয় বোঝার চেষ্টা করুন।

ব্যক্তিগত গুণ : আপনার কিছু বিশেষ গুণ (যেমন- নির্ভরযোগ্য, মিশুক, কঠোর পরিশ্রমী, সময়ানুবর্তী) সম্পর্কে জানুন। তালিকাটি তৈরি শেষে এবার নিয়োগদাতার চাহিদা অনুযায়ী আপনার তিন থেকে পাঁচটি দক্ষতা ও গুণ তুলে ধরুন। খেয়াল রাখবেন, ইন্টারভিউতে জিজ্ঞেস করলে যেন আপনি বলতে পারেন, কেন এগুলো আপনার গুণ বা দক্ষতা।

আপনার দুর্বলতা : আপনার দুর্বলতাগুলো কী? প্রশ্নটি সম্ভবত ইন্টারভিউতে সবচেয়ে আতঙ্কজনক। কারণ সবারই কিছু না কিছু দুর্বলতা আছে। কিন্তু কেউ তা স্বীকার করতে চান না। বিশেষ করে ইন্টারভিউতে তো আরো আগে না। এ প্রশ্ন মোকাবেলা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিজের গুণগুলো সম্পর্কে কম বলা এবং ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখা। 

মানবকণ্ঠ/জেএস