Image

ডুমুরিয়া হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাংবাদিক লাঞ্ছিত

শেখ আব্দুস সালাম, ডুমুরিয়া (খুলনা): ডুমুরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন বৈশাখী টেলিভিশনের খুলনা প্রতিনিধি ও দৈনিক খুলনার মফস্বল সম্পাদক শেখ হেদায়েতুল্লাহ। তিনি আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রোগীদের ভোগান্তি,ওষূধ পাচার, মেডিকেল রিপ্রেন্টেটিভ, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিদের দৌরত্ব নিয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে যান। এ সময়ে বর্হিবিভার্গের টিকিট কাউন্টার ও রোগীদের অপেক্ষার স্থানে রোগীদের সাথে কথা বলছিলেন।

এ সময়ে হাসপাতালের চিকিৎসক রিফাতসহ বেশ কয়েকজন লোক মোবাইল ফোন ও বৈশাখী টেলিভিশনের বুম ( মাইক্রোফোন) কেড়ে নিতে উদ্দত হন। এক পর্যায়ে তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে হুমকি দেন। অন্যথায পুলিশ দিয়ে হয়রানির কথাও বলেন। এসময়ে সাংবাদিক শেখ হেদায়েতুল্লাহ বলেন, যেহেতু উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মিটিংয়ে রযেছেন তাই ভিডিও করার জন্য অনুমতি নেয়া হয়নি। তাছাড়া পাবলিক প্লেসে ভিডিও করতে কারও অনুমতি নেয়ার জন্য সাংবাদিকের প্রয়োজন পড়ে না। তিনি বলেন,কর্মকর্তার সাথে তিনি কথা বলবেন। এক পর্যায়ে চিকিৎসক নাইম, সাব্বিরসহ আরও কযেকজন তেড়ে আসেন। এ সময়ে ডুমুরিয়া উপজেলার দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক জিএম আব্দুস ছালাম ঘটনাস্থলে পৌছেন। তার সঙ্গে রিফাত ও নাইম দুর্ব্যবহার করে বলেন, সাংবাদিকতা শিখিযে দেয়া হবে। অমন দু-চারজন সাংবাদিক পিছনে পিছনে ঘুর ঘুর করে থাকে।
শেষ পর্যায়ে সাংবাদিকদ্বয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কক্ষে এক প্রকার টেনে হিচড়ে নিয়ে গিয়ে কক্ষ আটকে দেয়ার চেষ্টা করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজল বিশ্বাস তার কক্ষ থেকে বের হয়ে আসলে সাংবাদিক শেখ হেদায়েতুল্লাহ বিএমএ খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলমকে ফোন দেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বললে সে সময়ে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।
ঘটনার কিছু পরে ডুমুরিয়া উপজেলা আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়াদ্দার ঘটনা শুনে এটি দঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সবিজুর রহমান বলেন, সংরক্ষিত এলাকা ছাড়া সাংবাদিকরা যে কোন স্থানের ভিডিও করতে পারেন। এতে আইনগত কোন বাধা নেই। আর হাসপাতালের বর্হিবভাগের ভিডিও করার কোন সমস্যা তো নয়। তিনি বলেন,কোন স্থানে যদি নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত বা গোপনীয়তা রক্ষার বিষয় থাকে সেখানকার ভিডিও চিত্র ধারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিযেশন খুলনা শাখার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম বলেন, সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানের ভিডিও করতে সাংবাদিকদের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। যদি সংরক্ষিত কোন স্থাপনা হয় বা নিষেধাজ্ঞা থাকে তবে অনুমতি নিয়ে ভিডিও করা উচিৎ। তিনি বলেন, চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের সাথে যে ঘটনা ঘটেছে এটি দুঃখজনক।