Image

সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি বোঝে না বিএনপি: ড. হাছান মাহমুদ

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকে : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মী। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মেধা ও শ্রমের কারেণ দল পাঁচ পাঁচ বার ক্ষমতায়। তাই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করতেই আজকে দলের রংপুর বিভাগীয় এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের শক্তি হচ্ছে দল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আমাদের দলের সকল নেতাকর্মীদের 

ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে এগিয়ে নিতে হবে এটাই প্রধানমন্ত্রীর বার্তা। রাজনীতি একটি ব্রত। আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না, জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য আমাদের রাজনীতি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবন বাজি রেখে দেশের যে কোন দূর্যোগ দূর্বিপাকে জণগণের কাছে ছুঁটে চলেছেন। ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছি বিধায় দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগ নাকচ করে ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যূৎ 

নিয়ে আসছি। আগামীতে ভূট্টান থেকে ভারতের ওপর দিয়ে জলবিদ্যূৎ আসবে। আর ঢাকা- 

কোলকাতা রুটে ট্রেন চলছে বহু বছর ধরে। নৌপথে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভূট্টান ও নেপালও ভারতের ওপর দিয়ে পণ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে ফিরে আসার পর বিএনপি নানা বক্তব্য রাখছেন। কারণ তারা সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মানে বোঝে না। এর আগেও বিএনপি বলেছিল সাবমেরিন যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। পরে আমাদের অর্থের বিনিময়ে সাবমেরিনের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই কথাগুলো বলেন তিনি। শুক্রবার সৈয়দপুর শহরের পার্বতীপুর সড়কের সুলতাননগরে ড্রিম প্লাস হোটেল এন্ড রিসোটে হলরুমে বিকেল তিনটায় ওই সভার আয়োজন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আরো বলেন, বিএনপি আর এখন সরকার পতনের কথা বলে 

না। তারা এখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলে। বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হলে বিএনপির নেতারা খুশী হন। তারা এখন তারেক ভীতির শঙ্কায় ভুগছেন। বিএনপির মহাসচিবও সেই শঙ্কার মধ্যে আছেন।বিএনপি-জামায়াতসহ সব অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে বসেছিলো। কিন্তু তাদের 

সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৮১টি দেশ ও ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো.শাহাজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি। 

এছাড়াও ওই বর্ধিত সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক রেলপথ মন্ত্রী এ্যাডভোকট নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনসহ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের জাতীয় কমিটির সদস্য, জেলা, মহানগর ও উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার দলীয় মেয়রগণ অংশগ্রহন করেন। এরআগে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দ তাদের সাংগঠনিক অবস্থান তুলে ধরে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কথা জানান। এদিকে প্রধান অতিথি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানস্থলে পৌছুলে তাদেরকে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলার আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য অঙ্গদলের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে প্রধান অতিথিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। 

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৭ টা) বর্ধিত সভা চলছিল। বর্ষার মুষলধারার বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। সভাটি উপলক্ষে ড্রিম প্লাস হোটেল এন্ড রিসোর্ট এলাকা পরিনত হয়েছিল উৎসবের আমেজে।