বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে না: জিলানী

ন্যাশনাল ডেস্ক: স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে না। বিএনপি লড়াই করছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যাতে ভোটের অধিকার ফিরে পায় সে জন্য। বিশেষ করে তরুণ সমাজ কে সংবিধান তাদের যে ক্ষমতা দিয়েছে ভোট দেয়ার, সে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতেই আমরা সংগ্রাম করছি। আমরা জানি রাষ্ট্রের মালিক জনগণ। আর জনগণ রাষ্ট্রের মালিক তখনই হবে যখন তারা তাদের একটি ভোট নির্ভয় দিতে পারবে। বাংলাদেশের মানুষ ১৭ বছর ভোট দিতে পারেনি এজন্য দেশ নায়ক তারেক রহমান তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা শহরের তুফান কনভেনশন সেন্টারে আগামী ১৭ মে খুলনায় ‌'তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ' সফল করার লক্ষে জেলা সেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদ কে হটিয়াছি পাঁচই আগস্ট। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার এখনো প্রতিষ্ঠিত করতে পারে নাই। ৫ ই আগস্টের প্লাটফর্মটি তৈরি হয়েছিল একটি কোটার আন্দোলনের মাধ্যমে। সেখানে আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। যে কারণে ১৭ বছরের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এক দফারর কারণে ৫ ই আগস্ট হয়।

সমন্বয়কদের উদ্দেশ্য সএম জিলানী বলেন, তারা তিন দিন হারুনের ভাতের হোটেলে খেয়ে আন্দোলনের স্থগিত ঘোষণা করেছিল। বলেছিল কারা আন্দোলন করছে, জ্বালাপোড়াও করছে আমরা জানি না। বিরোধীদলের নেতারা হয়তো এসব কাজগুলো করছে। আমরা কোটার জন্য এসেছিলাম, সরকার আমাদের আমাদের আর কোন দাবি নেই।  

তিনি বলেন, প্রিয় ছোট ভাইয়েরা তোমরা তো দুধের বাচ্চা, তোমরা ভয় পেয়ে আন্দোলন থেকে সরে গিয়েছিলে। তখনই এই আন্দোলন হাতে তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশের জনগণ। এই আন্দোলনে আমরা ৪'শ ২২ জন বিএনপি নেতা কর্মীকে হারিয়েছি। আমরা ভেবেছিলাম এই আন্দোলনে মাধ্যমে তরুন না বাংলাদেশকে নতুন পথ দেখাবে। যাতে ভেবেছিল এই তরুণরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলবে। কিন্তু আজকে জাতী হতাশ হয়েছে। আমরা বাংলাদেশের মানুষ হিসেবে হতাশ হয়েছি। বাংলাদেশ কোন নতুন সংস্কার হচ্ছে না আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন, সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের কালক্ষেপণ করছেন। আপনাদেরকে যারা পৃষ্ঠপোষকতা করছে তাদের পায়ের তলে মাটি নেই।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন যে পার্টি হয়েছে (এনসিপি) আমরা তাদেরকে সাধুবাদ জানাই, কিন্তু তাদের এই নতুন নিয়ে জাতি আজ হতাশ হয়েছে। তাদেরকে এখন স্কুল, কলেজে পাওয়া যায় না। তারা সবসময়ই তদবীরে ব্যস্ত থাকে। ইদানিং তাদেরকে কোরবানির গরুর হাটেও দেখা যাচ্ছে। তারা গরুর হাট নিয়ে খেলা করছে এদের কাছ থেকে জাতি কিছু আশা করতে পারেনা।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের অ্যাডভোকেট আহ্বায়ক কামরুজ্জামান ভুট্টোর সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভার সঞ্চালনা করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শেখ শরিফুজ্জামান সজীব। এ সময় বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি রনি, নেছার উদ্দিন শফিসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।