Image

টয়লেটকে মন্দির ভেবে এক বছর ধরে গ্রামবাসীর প্রণাম!

গেরুয়া রঙের শৌচাগারকে মন্দির ভেবে দীর্ঘদিন ধরে প্রণাম করে আসছিলেন ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি গ্রামের বাসিন্দারা। রাস্তার ধারের একটি ঘর। যার বাইরের দেওয়ালের রঙ গেরুয়া। দীর্ঘদিন ধরে সেটির দরজায় তালা ঝুলছে।

এমনকি মৌদহ নামের ওই গ্রামের বাসিন্দাদের কেউ কেউ নাকি সেই শৌচাগারের সামনে দাঁড়িয়ে প্রার্থনাও করতেন! এমনই আজব খবর জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।

গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, রঙ যখন গেরুয়া, তখন দেওয়ালের ওপারে নিশ্চয়ই কোনও দেবতার বাস। তাই বন্ধ দরজার দিকে তাকিয়ে হাতজোড় করে প্রণাম করেন তারা। কেউ কেউ দাঁড়িয়ে প্রার্থনাও করেন!

স্থানীয় বাসিন্দা রাকেশ চান্দেলের বলনে, এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাছেই অবস্থিত ওই ঘরটি। দেওয়ালে গেরুয়া রঙ তো বটেই, ঘরের উপরের অংশটিও দেখতে মন্দিরের মতোই। তাই বাসিন্দারা ধরেই নিয়েছেন, এটি মন্দির। ভিতরে কী আছে, জানার চেষ্টা করিনি আমরা।

সম্প্রতি এক অফিসার এসে বলেন, এটি আসলে একটি শৌচাগার। তিনি এও স্বীকার করে নেন, গেরুয়ার গেরোয় পড়েই যত গণ্ডগোল।

বছর খানেক আগে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অংশ হিসেবে এই গ্রামে তৈরি হয়েছিল শৌচাগারটি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেটি বন্ধ। মৌদহ নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রাম কিশোর বলেন, নগর পালিকা পরিষদ এই শৌচাগারটি তৈরি করেছিল। কনট্রাক্টর এটি গেরুয়া রঙ করে দেয়। আর সেখান থেকে যত দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।

তবে গ্রামবাসীরা যাতে আর এর দরজার সামনে এসে মাথা নতো না করেন, সে কারণে শৌচাগারের রঙ বদলে গোলাপি করে দেওয়া হয়েছে।

মানবকণ্ঠ/আরবি