Image

সোলাইমানি হত্যায় ইরানের হুশিয়ারি

সোমবার তেহরানে সোলাইমানির জানাজায় আল-কুদস ফোর্সের নতুন প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কিয়ানি নতুন করে বদলা নেয়ার অঙ্গীকার করেন। ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ ধাপে ধাপে নেয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।

 

 

 

 

 

তিনি  বলেন, শহীদ সোলাইমানির বদলা নেয়া আল্লাহর দেয়া প্রতিশ্রুতি। কারণ, আল্লাহ স্বয়ং পরাক্রমশালী প্রতিশোধ গ্রহণকারী। আমরা শহীদ সোলাইমানির পথ সেই একই শক্তি ও উদ্যম নিয়ে অনুসরণ করে যাওয়ার সংকল্প নিয়েছি। যুক্তরাষ্ট্রকে এ অঞ্চল থেকে তাড়ানোর মধ্য দিয়ে কয়েক ধাপে আমরা তার সেই শহীদানের প্রতিশোধ নেব।

তেহরানে নিহত কাসেম সোলাইমানির জানাজায় প্রকাশ্যে কাঁদলেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তার কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে যখন কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন, তখন নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারছিলেন না। তার কণ্ঠের আওয়াজ ভেঙে ভেঙে যাচ্ছিল।

সোমবার লাখ লাখ শোকার্ত মানুষ রাস্তায় নেমে আসলে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক স্তব্ধ হয়ে যায়। পরে শোকমিছিল আজাদী চত্বরের দিকে চলে যায়। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলছে, ইরানের রাজধানীর সড়কগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির পরে এমন মানুষের ভিড় আর কারো জানাজায় দেখা যায়নি।

প্ল্যাকার্ড হাতে এক লোককে সামনে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে। তাতে লেখা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার কথা যে জিহ্বা বলছে, সেটা নীরব থাকুক।

মাতমরত নারীরা বলেন, কোনো মধ্যস্থতা না, কোনো আত্মসমর্পণ না। এসময় উর্দিপরিহিত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও গোয়েন্দারা ভিড়ের মধ্য দিয়ে পথ করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন।

জেনারেল সোলাইমানির মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি বলেন, আমেরিকা ও ইহুদিবাদীদের জানা উচিত যে আমার বাবার শাহাদত নতুন জাগরণের নেতৃত্ব দেবে- সম্মুখের প্রতিরোধে। তাদের জন্য নতুন অন্ধকারময় দিন নেমে আসবে। তাদের বাড়িঘর মাটিতে মিশে যাবে।

উন্মুক্ত ট্রাম্প চিন্তাও করতে পারবেন না যে আমার বাবার শাহাদতে সবকিছু শেষ হয়েছে, বললেন সোলাইমানি কন্যা।

 

মানবকণ্ঠ/টিএইচডি