Image

সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের দাবিতে ঢাবিতে মানববন্ধন

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন এবং এটা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাংবিধানিক অধিকার দাবি করে মানববন্ধন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা এগারোটার দিকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ ও সিনেট সদস্য অসীম সরকার, সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক নমিতা মন্ডলসহ প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য অধ্যাপক অসীম সরকার বলেন, 'স্বরস্বতি পূজা একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। জগন্নাথ হলে সর্ববৃহত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের জন্য এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে সেই দিনটিতেই সিটি নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হয়েছে।

এটা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাংবিধানিক অধিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, একই দিনে আমরা দুইটি জিনিস আদায় করতে পারবো না। নির্বাচন যাতে না হয় সে পদক্ষেপ নিন। অনতিবিলম্বে এটা পরিবর্তন করতে হবে। এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক নমিতা মন্ডল বলেন, 'মুসলমানরা যেমন ঈদের দিন পরিবর্তন করতে পারেন না, আমরাও পূজার তারিখ পরিবর্তন করতে পারবো না। এটা বিশেষ তিথিতেই হয়। এটা আমাদের অধিকার। তাই তারিখ পরিবর্তন করতেই হবে। আমরা ভোট দিতে চাই, আমরা পূজাও করতে চাই।'

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা 'পূজা করবো, নাকি ভোট দেব, সংবিধানরের ৪১ নং অনুচ্ছেদের কি মূল্য নাই?, হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই, নির্বাচনটা কি পূজার দিনেই তাই?, ধর্ম আমার অধিকার, ভোট আমার অধিকার, কোন দিকে যাই, ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড বহন করে।

মানবন্ধন থেকে দুই দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করতে হবে। নির্বাচনের দিনটি এমনভাবে ধার্য করতে হবে যেন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে দেবীর পুজা করতে পারেন, আবার নির্বাচনেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। আগামীতে যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, নির্বাচনের তারিখ পুনঃবিবেচনার দাবিতে রোববার (১২ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে ডাকসু থেকেও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ পুনঃবিবেচনার দাবি জানানো হয়।

মানবকণ্ঠ/জেএস