Image

ডুমুরিয়ার শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দু'টি পদে ১৯ লক্ষ টাকার নিয়োগবাণিজ্য!

শেখ আব্দুস সালাম, ডুমুরিয়া (খুলনা): ডুমুরিয়ার শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আয়া এবং অফিস সহায়কপদে নিয়োগে ১৯ লক্ষ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসির পক্ষে মোঃ রহিম বাদী হয়ে খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দাযের করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আগামীকাল ১০ অক্টোবার শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের “অফিস সহায়ক" ও "আয়া” এই দুটি পদের জন্য নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত অনিয়ম তুলে এলাকাবাসী ক্ষোভ বিক্ষোভ করতে পারে এমন শঙ্কায় পরিক্ষা স্থান নির্ধারিত করা হয় খুলনা নগরীর ইকবালনগর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে। ইতোমধ্যে শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ সরকার এবং পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জনাব সুভাষ চন্দ্র শীল আয়া পদে চাকরির নিশ্চয়তা দিয়ে বিশ্বজিৎ মল্লিকের স্ত্রী তমা রানী মল্লিকের কাছ থেকে নগদ নয় লক্ষ টাকা এবং মৃত সেবক মন্ডল এর ছেলে সাগর মন্ডল  এর কাছ থেকে নগদ দশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে নানা অনিয়মের অভিযোগে ইতোপূর্বে দুই দুই  বার উক্ত পদের নিয়োগ পরিক্ষা  বাতিল করেছিলেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। ফলে এবার নতুন কৌশল হাতে নিয়েছেন  বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি। কমপক্ষে ৩ জন প্রার্থী না হলে পরিক্ষা বাতিল হয়,সে কারনে অফিস সহায়ক পদে সাগর মন্ডল ফাইনাল হলেও চয়ন বসাক এবং রাসেল শেখ নামের দুই জন প্রার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে পরিক্ষাটি  সম্পন্ন করবেন। এদিকে আয়া পদে তমা রানী মল্লিক ফাইনাল হলেও তার সাপোটিং হিসেবে লক্ষী বিশ্বাস ও শম্পা রানী নামের দুই জন প্রার্থী পরিক্ষায় অংশগ্রহন করবেন বলে একাধিক সুত্র জানিয়েছেন।অফিস সহায়ক পদে গৌতম, শুভজিৎ, সোহাগ ও অমারেশ অনিয়মের কারনে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করবে না বলে জানা গেছে। একই সাথে আয়া পদে অর্পনা, রীতা, বন্ধনা ও অমৃতা অনিয়মের কারনে পরিক্ষায় অংশগ্রহন করবে না বলে জানা যায়। এব্যাপারে শোভনা বিরাজময়ী মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জনাব সুভাষ চন্দ্র শীল এক  ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন তার ভাগে মাত্র ২ লাখ টাকা পড়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলেও ফোনটি রিসিভ করেনি।প্রধান শিক্ষক রাবিন্দ্র নাথ সরকার বলেন টাকা লেনদেনের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। 

এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেবাশীষ  বিশ্বাস জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিক্ষাটি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে। অন্যথায় পরিক্ষা স্থগিত রাখা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আসিফ রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।