Image

ইন্টারভিউয়ে মেনে চলতে হবে

অনেক সময় কোনো কোনো কোম্পানিতে প্রথম ইন্টারভিউয়ের পর দ্বিতীয় ইন্টারভিউয়ের জন্য চাকরি প্রার্থীদের ডাকা হয়। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর নিয়োগদাতারা চূড়ান্ত বাছাইয়ের জন্য প্রতিযোগীদের অনেক সময় দ্বিতীয় ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকেন। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাইট ভিজিট, অফিস ভিজিট বা প্লান্ট ভিজিট হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণত দ্বিতীয় ইন্টারভিউয়ের পরই চাকরি নিশ্চিত হয়। নিয়োগদাতা ও চাকরিপ্রার্থী উভয়েরই এ সময় নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে।

প্রথম ইন্টারভিউ যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তার চেয়ে কোনো অংশে কম গুরুত্বপূর্ণ নয় দ্বিতীয় ইন্টারভিউটা। তাই আপনাকে অবশ্যই খুব সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব কাজ করা উচিত।

তথ্য সংগ্রহ করুন : ইন্টারভিউ যেন ভালো ও আশানুরূপ হয়, সে কারণে কারা ইন্টারভিউ নেবেন, তাদের নাম বা তালিকা সংগ্রহ করতে পারেন। এতে করে আপনার পরিচিত কেউ থাকলে মানসিকভাবে অনেকটাই নির্ভার হবেন আপনি।

নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছান : প্রথম ইন্টারভিউতে যেমন সময় সচেতন থাকতে হবে আপনাকে, তেমনি দ্বিতীয় ইন্টারভিউতেও নির্দিষ্ট সময়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য পৌঁছান। কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে অফিসের সামনে চলে আসুন।

ড্রেস কোড মেনে চলুন : অবশ্যই দ্বিতীয় ইন্টারভিউতেও ড্রেস কোড মেনে চলবেন। প্রথম ইন্টারভিউয়ের মতো এবারো পেশাগত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সুন্দর, মার্জিত পোশাক পরুন। সে বিষয়ে সন্দেহ থাকলে স্যুট পড়তে পারেন।

প্রশ্ন করুন : প্রথম ইন্টারভিউতে সম্ভব না হলেও দ্বিতীয় ইন্টারভিউতে প্রশ্নকর্তাকে অবশ্যই কিছু প্রশ্ন করুন। এটি আপনার পেশাদারী মনোভাব প্রকাশ করবে। আর চাকরিটা আপনার কাক্সিক্ষত কি না তা বুঝতে হলে প্রশ্ন করতেই হবে। এক্ষেত্রে যেসব প্রশ্ন আপনি করতে পারেন।

* জব ডেসক্রিপশন কেমন অর্থাৎ কাজের পরিধি কেমন হবে তা জানুন।
* কাজের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন।
* প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিন।

বেতনটা কত : আপনি কত বেতন আশা করছেন, সে বিষয়ে প্রশ্নকর্তা আপনাকে প্রশ্ন করতে পারেন। এ সময় নির্দিষ্ট একটি অংক বলতে হবে আপনাকে। তাই যে পদের জন্য ইন্টারভিউ দিচ্ছেন, তার জন্য অন্যরা কত বেতন পান, সেটা আগে জেনে নিন। এরপর সে বিষয়ে প্রত্যাশা জানান।

নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন : অফিস চত্বরে প্রবেশের পর খেয়াল রাখুন আপনার আচরণ যেন মার্জিত হয়। অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে অফিসের কর্মচারীদের সঙ্গে ভদ্রভাবে কথা বলুন। কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্জিত ও পরিমিত কথা বলুন। জেনে নিন অফিস, পদ, কাজ, সম্ভব হলে বেতন কাঠামো সম্পর্কে। তবে বিতর্কিত কোনো বিষয়ে কথা বলবেন না। কোম্পানির বিষয়ে আপনি কী কী জানেন, তা নিয়ে কথা বলুন। সব সময় পেশাদারী মানসিকতা বজায় রাখুন। অফিস চত্বরে প্রবেশের পর ধূমপান করবেন না। ইন্টারভিউয়ের সময় নার্ভাসনেস প্রকাশ করবেন না। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যেহেতু দ্বিতীয়বারের মতো আপনার ডাক এসেছে, তাই চাকরিটা আপনি পেয়ে যাচ্ছেন, সে চিন্তা করুন। হেসে কথা বলুন প্রশ্নকর্তা বা নিয়োগদাতাদের সাথে। স্থিরতা, আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করুন। মনে রাখবেন, কোম্পানির লোকেরা কাজের দক্ষতার পাশাপাশি সামাজিক দক্ষতাও আশা করেন।

সমান গুরুত্ব দিন : ইন্টারভিউয়ের সময় সব প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন যেমন মনোযোগ দিয়ে, আগ্রহ নিয়ে শোনা উচিত, তেমনি ইন্টারভিউয়ের পর প্রশ্নকর্তাদের সবার কাছ থেকে বিজনেস কার্ড সংগ্রহ করুন। কারো কাছে বিজনেস কার্ড না থাকলে ছোট একটি নোটপ্যাডে তাদের নাম লিখে রাখুন।

পদ ও কাজের বিস্তারিত জানুন : কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট পদের জন্য কেমন লোক চান, কী কী গুণ বা যোগ্যতার ব্যাপারে তারা জোর দেন এ বিষয়গুলো জানুন। আর এ পদে কাজ করতে গিয়ে কী কী ইস্যু নিয়ে ভাবতে হবে, কোন কোন সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে সেগুলোও জানুন। মনে রাখতে হবে প্রথম ইন্টারউিয়ের জন্য যেসব গাইডলাইন মেনে চলেছেন, দ্বিতীয় ইন্টারভিউতেও সেগুলো মেনে চলতে হবে।

মানবকণ্ঠ/জেএস