Image

ক্যারিয়ারে লক্ষ্য নির্ধারণ

নিজেকে জানতে হবে : ক্যারিয়ারে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে আগে নিজের সম্পর্কে ভালো মতো জানতে হবে। আপনি কোনো বিষয়ে দক্ষ, কোনো বিষয়ে আপনার প্রতিভা রয়েছে সেটি আপনাকেই যাচাই করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যে ফিল্ডে বেশি আগ্রহী, সে ফিল্ড ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়াই উত্তম। ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে সবার প্রথমে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।

যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করতে হবে : আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে দিন। মাধ্যমিক লেভেলেই আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ শুরু করাটা বুদ্ধিমানের। কেননা, সময়ের কাজ সময়ে না করলে অন্য কেউ আপনাকে পেছনে ফেলে সফল হয়ে যাবে।

লক্ষ্যে অটুট এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে : লক্ষ্য নির্ধারণ করে সেই লক্ষ্যে অটুট এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞ না হলে কখনোই সফলতা সম্ভব নয়। মনে করুন, আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চান। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করলেন। দু’মাসের মাথায় কোনো উন্নতি দেখতে না পেয়ে ধরে নিলেন আপনাকে দিয়ে এ কাজ হবে না। এই মনোবল নিয়ে আপনি কখনোই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন না। আপনি যেই লক্ষ্য নির্ধারণ করে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন, সেই স্বপ্নকে আগলে রাখতে হবে। আপনার সেই লক্ষ্যকে ভালোবাসতে হবে। যদি তা না হয়, তবে বুঝতে হবে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ ভুল হয়েছে। জীবনে সফল হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। কখনোই হাল ছাড়া যাবে না।

মেন্টর বা পরামর্শদাতা বানাতে হবে : জীবনে অন্তত একজন ব্যক্তিকে মেন্টর বা পরামর্শদাতা হিসেবে বেঁছে নিন। সেই একজন ব্যক্তি যে কেউ হতে পারে। হতে পারে আপনার বাবা-মা, ভাই-বোন, মামা-চাচা, আপনার শিক্ষক এমনকি আপনার বন্ধুও। তবে মেন্টর বানানোর ক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আপনি তাকেই মেন্টর বানাবেন, যার ক্যারিয়ার ফিল্ডগুলোর বিষয়ে ভালো ধারণা এবং অভিজ্ঞতা আছে। দেশে প্রচলিত-অপ্রচলিত ক্যারিয়ার ফিল্ড রয়েছে। এবার সেসব নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।

প্রচলিত-অপ্রচলিত ক্যারিয়ার : প্রথমেই বলেছি, যে আমাদের দেশে ক্যারিয়ার বলতে শুধু চাকরি করাকেই বোঝায়। কিন্তু এর বাহিরে যে আমাদের আরো অনেক সম্মানজনক ও ভালো মানের ক্যারিয়ার ফিল্ড রয়েছে। সে বিষয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে খুব কমই আলোচনা হয়ে থাকে। উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সিং, কনসালল্টেন্ট ইত্যাদি ক্যারিয়ার ফিল্ডগুলো বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করছে। এই ফিল্ডগুলোতে সফল ক্যারিয়ার গড়ে আপনিও দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারেন। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিস্টার এসব ছাড়াও ইদানীং কিছু ক্যারিয়র পথ তৈরি হয়েছে, যাতে অনেকেই সফল হচ্ছে।

মানবকণ্ঠ/জেএস