Image

আশাশুনিতে একদিনে ৩দলিল লেখকের অফিসে চাঁদাদাবী ও লাঞ্চনা, থানায় মামলা

বিএমআলাউদ্দীন,আশাশুনি(সাতক্ষীরা):আশাশুনিতে একই দিনে ৩দলিল লেখকের অফিসে গুন্ডামী, চাঁদা দাবি, লাঞ্ছিত করা ও হুমকি ধামকির ঘটনা ঘটেছে।

এব্যাপারে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার দিন থেকে স্থানীয় দলিল লেখকরা কলমবিরতি পালন করে আসছেন। 


আশাশুনি গ্রামের মৃত বাসুদেব চন্দ্র মন্ডলের ছেলে দলিল লেখক কৃষ্ণপদ মন্ডলের দায়েরকৃত এজাহার (নং ০৮ তাং ১৬/০৫/২০২৫) সূত্রে জানা গেছে, আশাশুনি সদরের আবু বক্কারের ছেলে আসামী নাজমুল হোসেন ও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন একদলীয় পেশাদার চাঁদাবাজ চক্রের সক্রিয় সদস্য। উপজেলা মোড়ে জনৈক আঃ বারীর হোটেলের পাশে বাদীর দলিল লেখার অফিস আছে। গত ১২মে বেলা ১১টার দিকে আসামীরা অফিসে গিয়ে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং বলে দলিল লিখতে হলে তাকে প্রতিমাসে দলিল বাবদ কমিশন দিতে হবে। তারা চাঁদার দাবীতে হুমকী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। বিকাল ৩টার দিকে বাদী ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তায় গেলে তার গতিরোধ করে গালিগালাজ করে এবং চাঁদার টাকা না দেওয়া পর্যন্ত যেতে দেবেনা জানিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাই সাইকেলসহ ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বাজারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছলে ৭দিনের মধ্যে টাকা যোগাড় করে রাখারর কথা বলে খুন যখমের হুমকি দিয়ে তার (আসামি) ছবি অফিসে বাঁধিয়ে রাখতে হুঙ্কার দিয়ে চাঁদা না দিলে অফিস খুলবি না আস্ফালন করে চলে যায়। আসামিরা দলিল রেজিস্ট্রি করতে আসা দাতা ও গ্রহিতাদের খুন জখমের হুমকি ও শারীরিক লাঞ্ছিত করে টাকা আদায় করে থাকে।

এজাহারে বলা হয়েছে, একইদিন দলিল লেখক পরিমল কুমার সানা ও শুষেন চন্দ্র মল্লিকের অফিসে গিয়ে আমামীরা ৫০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। ফলে দলিল লেখকরা নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছেনা, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এব্যাপারে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দলিল লেখকদের আত্মসম্মান রক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য জোর দাবি জানান হয়েছে। সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত দলিল লেখকরা কলমবিরতি পালন করবেন।