Image

আশাশুনির শ্রীউলায় কিশোর গ্যাং অকিদ বাহিনীর দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি; ২৪ ঘণ্টায় ২ টি এজাহার দাখিল 

ন্যাশনাল ডেস্ক: সাতক্ষীরার আশাশুনির শ্রীউলায়  মজনু ও তার ছেলে অকিদ হাসানের বিরুদ্ধে ঘের দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের নেতৃত্বে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম আর দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। নতুন করে চাঁদার দাবিতে মারপিটের ঘটনায় গত ২৪ ঘণ্টায় তার বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় দুটি এজাহার দাখিল করেছেন পুইজালার মোমিনুর রহমান ও মহিষকুড় মৎস্য সেড মালিক আরিফুর রহমান।
মোমিনুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের দীর্ঘদিনের  ত্রাস হিসেবে পরিচিত মোশাররফ হোসেন মজনুর ভয়ে আমরা সবসময় আতঙ্কে থাকি। এরপর বর্তমানে তার ছেলে অকিদ নিজেই বেশ কিছু কিশোর গ্যাং তৈরী করে আরেকটা চাঁদাবাজ বাহিনী গড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদাবাজি সহ ঘেরের মাছ লুটপাট করে চলেছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা তো দুরে থাক ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। 
মোমিনুর আরো বলেন, রোববার সকালে আমি ও আমার ভাই আলমগীর মহিষকুড় মৎস্য সেড থেকে মাছ বিক্রি করে ফেরার পথে অকিদের নেতৃত্বে শ্রীউলা গ্রামের নাফিজ, তৈয়বুর সহ ৪/৫টি ছেলে আমাদের পথ রোধ করে আমার মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা আমাদের বেধড়ক মারপিট করতে থাকে। আমাদের ডাকচিৎকারে একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে তারা হুমকি ধামকি দিয়ে আগামী ৩ দিনের মধ্যে ধার্যকৃত চাঁদার ২ লক্ষ টাকা পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। অপরদিকে, মহিষকুড় মৎস্য সেডের মালিক আরিফুর রহমান জানান, শ্রীউলার দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, ঘের দখলকারী  মজনুর ছেলে অকিদ হাসান নিজস্ব বাহিনী নিয়ে মাঠে নেমে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে চলেছে। অকিদ প্রায়ই তার লোকজন নিয়ে মৎস্য সেডে ঢুকে  বলে মৎস্য সেড চালাতে গেলে তাকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে। গত শনিবার (৩০ মে) সকাল ৯টার দিকে সেড থেকে বাড়ি ফেরার পথে মেইন সড়কে উঠলেই অকিদ সহ অজ্ঞাত নামা কয়েক জন আমাকে আটক করে দাবিকৃত ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে। আমি দিতে না পারায় তারা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে অকিদ ও তার বাহিনী নিয়ে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। যাওয়ার সময় আগামী ৭ দিনের মধ্যে ধার্যকৃত চাঁদার টাকা দেয়ার জন্য ঘোষনা করে যায়। তাদের হুমকি ধামকিতে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অবিলম্বে বাহিনীর প্রধান অকিদকে গ্রেপ্তার করে চাঁদাবাজি নির্মূলের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এছাড়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নীরিহ অনেকে তাদের সম্পর্কে মাছ লুটপাট, ঘের দখল ও ত্রাসের কার্যক্রমের লোহমর্ষক ঘটনার বর্ণনা করেন।
এঘটনায় আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মু. সামশুল আরেফিন জানান, অভিযোগের এজাহার পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


এ ব্যাপারে অকিদের বাবা মোশাররফ হোসেন মজনুর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনের সুইড বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।