Image

শ্যামলীর চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই ভাটা শ্রমিক নিহত, টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেল প্রায় ৪০ মিটার দুরে

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা দিনাজপুরমুখী নৈশকোচ শ্যামলী পরিবহনের  চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এসময় তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে প্রায় ৪০ মিটার দুরে নিয়ে গেছে ঘাতক বাসটি।

বুধবার (১৮ জুন) সকাল ৭টার দিকে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের কামারপুকুর বাজারের পতিরাম ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে ঘাতক বাসটি এলাকাবাসী আটক করলেও পালিয়ে এর চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার। 

নিহতরা হলেন উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া মুন্সিপাড়ার বুদারু মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা (২৮) ও কুজিপুকুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে নূর ইসলাম (৩০)। তাঁরা দুজনেই ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকাল ৭টার দিকে মাসুদ রানা ও নূর ইসলাম মোটরসাইকেলে তাদের কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্লিখিত স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশকোচ শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেল থাকা দুই আরোহী শামলীর চাকায় পিষ্ট হলে এতে ঘটনাস্থলেই তারা নিহত হন। কিন্তু চালক গাড়ীটি না থামিয়ে তাদেরকে টেনে হিঁচড়ে ৪০ মিটার দুরে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেয়ে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে যায়।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, সৈয়দপুর থানা পুলিশ,  তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ারসার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার অভিযান চালায়। এসময় সড়কের উভয় পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। পরে উদ্ধার অভিযান শেষে সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

দূর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, দুর্ঘটনায়কোচটি আটক করা হয়েছে। তবে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারের অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহন আইনে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।