Image

অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড, নেদারল্যান্ডসের লজ্জা

স্পোর্টস ডেস্ক: নেদারল্যান্ডসকে লজ্জায় ডুবিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। উপহার দিয়েছে বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরাজয়। ৩০৯ রানে হারিয়েছে ডাচদের। যা ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসেও রানে বিচারে দ্বিতীয় বড় হার। অজিদের দেয়া ৩৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২১ ওভারে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে গেছে তারা।

বুধবার ভারতের দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। জোড়া হারে আসর শুরু করলেও, টানা তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়া।

নেদারল্যান্ডসকে অবশ্য জিততে হলে গড়তে হতো রেকর্ড। আগে ব্যাট করে ওয়ানার্নার-ম্যাক্সওয়েলের রেকর্ড গড়া জোড়া সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে ডাচদের তাড়া করতে হতো ৪০০ রান। যা এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ ইতিহাসে পারেনি কোনো দল।

ডাচ বোলারদের দর্শক বানিয়ে ছাড়েন ম্যাক্সএয়েল। তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না তাদের। একের পর এক বল পাঠালেন সীমানার ওপারে। ২৭ বলে ফিফটির পর ৪০ বলে সেঞ্চুরি! বিশ্বকাপের রেকর্ড বই তোলপাড় করে দেন তিনি। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এর চেয়ে কম বলে শতক করতে পারেনি আর কেউ।ৎ

এদিকে রান ক্ষুধা যেন কমছে না ডেভিড ওয়ার্নারের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৩ রানের ইনিংসের পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও পৌঁছালেন তিন অঙ্কের ঘরে। তাতেই বসে গেলেন শচীন টেন্ডুলকারের পাশে। ১০৪ রানের ইনিংস খেলার পথে শচীনের সাথে ওয়ার্নার এখন যৌথভাবে বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান। তাদের ওপরে কেবল রোহিত শর্মা।


অবশ্য ৩.৫ ওভারে মাত্র ২৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় অজিরা। টসে জিতে ব্যাট করতে মিচেল মার্শ ফেরেন ১৫ বলে ৯ রান করে। তবে পরিস্থিতি সামলে নেন স্মিথ-ওয়ার্নার মিলে। গড়েন ১২০ বলে ১৩২ রানের যুগলবন্দী। ভেন মিরির দারুণ ক্যাচে স্মিথ ৭১ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। ২৩.৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তখন ১৬০ রান।

তৃতীয় উইকেটের পতন হয় ৩৭ তম ওভারে, ২৪৪ রানে। ৪৭ বলে ৬২ করে ফেরেন লাবুশানে। পরের ৪৬ রান তুলতে আরো ৩ উইকেট হারায় অজিরা, ফেরেন সেঞ্চুরিয়ান ওয়ার্নারও। তার ব্যাটে আসে ৯৩ বলে ১০৪ রান। জশ ইংলিশ ১৪ ও ক্যামেরন গ্রিন ফেরেন ৮ রানে। ৪২.২ ওভারে ২৯০ রানে ৬ উইকেট হারায় দলটি।


পরের গল্পটা শুধুই ম্যাক্সওয়েলের। প্রতিপক্ষ তো বটেই, দর্শক বানিয়ে দেন যেন অপরপ্রান্তে থাকা প্যাট কামিন্সকেও। ৪৭ বলে গড়েন ১০৩ রানের জুটি। যেখানে কামিন্সের কেবল ৮ বলে ৮। বাকি ৩৬ বলে ৯১ ম্যাক্সওয়েলের। শেষ ওভারে এসে আউট হন ৪৪ বলে ১০৬ রান করে। অজিদের ইনিংস থামে ৮ উইকেটে ৩৯৯ রানে।

যা তাড়া করতে নেমে মাত্র ২১ ওভারে মাত্র ৯০ রানে গুটিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। উদ্বোধনী জুটিতে অবশ্য ভালোই শুরু পেয়েছিল, ৪.৪ ওভারে যোগ করে ২৮ রান। এরপর থেকেই শুরু ধসের। প্রথমে পেসাররা, আর লেজটা ছাঁটেন একাই অ্যাডাম জাম্পা। ৩ ওভারে মাত্র ৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এই স্পিনার।

ম্যাক্স ও ডাউড ফেরেন শুরুতে ৬ রানে, মিচেল স্টার্কের কাছে পরাস্ত হয়ে। রান আউটের ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার বিক্রমজিৎ। ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রান আসে তার ব্যাটেই। কলিন একারম্যান ১০ ও এঞ্জেলবার্চ ফেরেন ২১ বলে ১১ রানে। ডি লিডেও পারেননি জড়তা কাটাতে, তেজা নিদামানুরু করেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান।

অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ড অপরাজিত থাকেন ২২ বলে ১২ রানে। ১৩.২ ওভারে ৬২ রানে ৫ উইকেট হারানো ডাচরা শেষ ২৬ বলে মাত্র ৬ রানে বাকি ৫ উইকেট হারায়! যেখানে পুরো অবদান জাম্পার। ২ উইকেট নেন মিচেল মার্শ।