Image

পূর্বাচলে স্থায়ী প্রদর্শনীকেন্দ্র হচ্ছে : বাণিজ্যমন্ত্রী

চলতি বছরের মাঝামাঝিতে মে মাসে পূর্বাচলে নিজস্ব স্থায়ী প্রদর্শনীকেন্দ্র পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তার আশা, আগামী বছর থেকে পূর্বাচলে সুন্দর পরিসরে এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করতে পারবেন। এখনকার মতো ৪-৫টি ক্যাম্পাসে যেতে হবে না।

গতকাল বুধবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত তৈরি পোশাক শিল্প পণ্যের চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সারা বছরজুড়ে আমাদের নিজস্ব স্থায়ী প্রদর্শনীকেন্দ্রটি ব্যবহার হোক।

একইসঙ্গে আগামী বছর থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার স্থায়ী প্রদর্শনীকেন্দ্র করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে আমি চাই সারা বছর আপনাদের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো সেখানে এ ধরনের প্রদর্শনীর আয়োজন করুক।

এ সময় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক, মেলার কো অর্গানাইজার এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক নন্দ গোপাল কে ও জাকারিয়া ট্রেড অ্যান্ড ফেয়ার ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান জাকারিয়া ভূইয়াসহ পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮৫ সালে আমি যখন ব্যবসা শুরু করি তখন গার্মেন্ট খাতের সমস্ত কিছু দেশের বাইরে থেকে আসত। এমন কি কার্টন, বোতাম, সুতা কন্টেইনার ভর্তি করে আসত। এখন সব আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে। আর আজকে বাংলাদেশ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে। এটা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা। আজকে গার্মেন্ট এক্সেসরিজ গার্মেন্ট শিল্পের সঙ্গে সঙ্গে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন গার্মেন্ট এক্সেসরিজ শিল্প ও গার্মেন্ট শিল্পকে আলাদা করে ভাবার কিছু নেই। আমরা আপনারা সবাই এক ও অভিন্ন।

তিনি বলেন, আমরা বড় ধরনের রফতানি করি ধরে নেই প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। আমাদের যদি এক্সেসরিজ না থাকত, বাইরের দেশ থেকে আনতে হতো তাহলে কিন্তু রফতানি আয় কমে যেত। এই খাতে প্রায় ৪-৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো অবস্থানে আছি। এখন আমরা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে রফতানি করছি। এ খাত থেকে সম্ভবত বিলিয়ন ডলার রফতানি হচ্ছে।

টিপু মুনশি বলেন, দেশে বিভিন্ন প্রদর্শনীর জন্য যেসব মেশিনারিজ দেশের বাইরে থেকে আনা হয়, সেসব যেন ডিউটি ফ্রি করা হয় এই দাবি জানিয়েছেন বিজিএপিএমইএর নেতারা। কারণ সেটা তো দেশে থাকবে না। প্রদর্শনী শেষে আবার চলে যাবে। আমি তাদের বলব আপনারা একটি আবেদন করেন এবং আগামী বছর থেকে যেন এ ধরনের পণ্য আমদানিতে কোনোরকম ডিউটি না থাকে, আমি সেই চেষ্টা করব।

বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, গার্মেন্ট খাত ভালো নেই। এটা বলতে ভালো না লাগলেও বলতে হয়। গত ৬ মাসে এ খাত ভালো করেনি। এসময় ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ নেগেটিভ গ্রোথে আছি। সাড়ে ১০ ভাগ কোয়ান্টিটি কমে গেছে। গত ৬ মাসে ৬৯টা কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ৩২ হাজার ৯শ’ জন চাকরি হারিয়েছে। একইসঙ্গে ৫৩টি নতুন কারখানা হয়েছে। আমরা অনেকে না বুঝে এ ব্যবসায় চলে এসেছি ও আসছি। তিনি বলেন, আমাদের গার্মেন্ট খাত যেভাবে এগিয়েছে এক্সেসরিজ খাতও সেভাবে এগিয়েছে।

মানবকণ্ঠ/এআইএস