Image

সুনামগন্জে হাওৱেৱ বুক চিৱে নিৰ্মিত সড়কটি পৱিদৰ্শন কৱেন দূৰ্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব

এম ৱেজা টুনু, সুনামগঞ্জ: সেই হাওরের বুক চিরে নির্মিত সড়ক টি পরিদর্শন করলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান,শনিবার (২২ মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে সাংহাই হাওরে কৃষকের ধান নষ্ট করে নির্মিত হওয়া সড়ক পরিদর্শন করেন তিনি,পরে সাংসাই হাওরের পাশে  স্থানীয় কৃষকদের সাথে মত বিনিময় সভা করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুস্তাফিজুর রহমান।

 
সভাশেষে তিনি বলেন, হাওরের মধ্যে দিয়ে কৃষকদের ক্ষতি করে সড়ক নির্মিত হচ্ছে এই তথ্য সরকার পাওয়ার সাথে সাথে এই সড়কের নির্মিত কাজ বন্ধ করে দিয়েছে এবং বিষয়টি আমাদের সরজমিনে এসে দেখার জন্য বলা হয়েছে।  সেই প্রেক্ষিতে আমরা আজকে এই সাংহাই হাওরে এসে প্রকল্পের কাজটি পরিদর্শন করেছি এবং কৃষকদের সাথে কথা বলেছি।
 
সচিব বলেন, আমরা সরজমিনে এসে দেখেছি হাওরের মধ্যে দিয়ে সড়কটি নির্মিত হওয়ায় কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে এবং যে কৃষকরা ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন তারা যাতে ক্ষতি পূরণ পান সেই বিষয়টি ঢাকায় গিয়ে আমরা কতৃপক্ষকে জানাব। এখন কতৃপক্ষ কি সিদান্ত নিবে সেটা তাদের বিষয়।  আমি এই মুহুর্তে কিছু বলতে পারব না।
 
 
তিনি আরোও বলেন, হাওরের মধ্যে দিয়ে এই সড়কটি  জাইকার অর্থায়নে হচ্ছে।  এখানে সড়ক নির্মাণে কৃষকরা ক্ষতি গ্রস্ত হলে ক্ষতি পূরণ হিসেবে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তাই বলে যে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না সেটা মুটেও সঠিক নয়।  সরকার চাইলেই ক্ষতি পূরণ দিতে পারবে,এসময় উপস্থিত ছিলেন,  দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া প্রমুখ।
 
 
উল্লেখ্য, সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার লাখো মানুষের জীবন-জীবিকায় জড়ানো  সাংহাই হাওরের কৃষকদের চৌখে মুখে বেদনার চাপ। কারণ তাদের শ্রমে-ঘামে ফলানো কষ্টের ফসল  গোলায় তুলার আগেই হাওরের বুক চিরে সড়ক নির্মাণের কর্মযজ্ঞ চলছে। ইতিমধ্যে হাওরের মধ্যে দিয়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে  ২০ হেক্টর ফসলি জমি পুরোপুরি নষ্ট করা হয়েছে যার বাজার মূল্য ৩০ লাখ টাকা।