Image

বিশাল জয়ের পথে বরিস জনসন

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ বা টোরি পার্টিই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পথে এগিয়ে আছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বুথফেরত জরিপ বলছে, এবার সব মিলিয়ে ৩৬৮ আসন পাবে কনজারভেটিভরা যা ২০১৭ সালের নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের চেয়ে ৫০টি বেশি।

বিবিসির বুথ ফেরত জরিপ অনুযায়ী- লেবার পার্টি ১৯১টি, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ১৩ ও এসএনপি ৫৫টি আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

ব্রিটেনের স্থানীয় সময় মধ্যরাতের আগেই নির্বাচনের ফলগুলো এসে পৌঁছাবে কিন্তু চূড়ান্ত ফল শুক্রবার দুপুরের মধ্যে জানা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা হোম সেক্রেটারী প্রিটি প্যাটেল বলেছেন ক্ষমতায় গেলে ক্রিসমাসের আগেই সংসদে আইন পাশ করে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন তারা। শ্যাডো চ্যান্সেলর জন ম্যাকডনেল বিবিসিকে বলেছেন বুথ ফেরত জরিপ সত্যি হলে তা হবে লেবার পার্টির জন্য চরম হতাশার।

তিনি বলেন, চূড়ান্ত ফল আসার পর লেবার নেতা জেরেমি করবিনের নেতৃত্ব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।

বুথ ফেরত এ জরিপে ভোটাররা ভোট দিয়ে বেরিয়ে আসার পথে তাদের হাতে একটি নকল ব্যালট পেপার দিয়ে তা পূরণ করতে বলা হয়। ১৪৪টি ভোট কেন্দ্রে এই বুথ ফেরত জরিপ পরিচালনা করা হয় যাতে ২২ হাজার ৭৯০ জন ভোটারের সাক্ষাতকার নেয়া হয়েছে। এ ধরণের জরিপের ফল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৭ সালে এমন জরিপে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের কথাই উঠে এসেছিলো আবার ২০১৫ সালের নির্বাচনে সত্যি সত্যি টোরি পার্টি জিতে জরিপের ফলকে সত্য প্রমাণ করেছিলো।

বিবিসির পলিটিক্যাল এডিটর লরা কুসেনবার্গ বলছেন বুথ ফেরত জরিপ পুরোপুরি সত্যি হলে কনজারভেটিভ পার্টি নেতা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে বের করে নিতে প্রয়োজনীয় সমর্থন পেয়ে যাবেন।

এটা হবে ১৯৮৭ সালের পর কনজারভেটিভ বা টোরি দলের বড় বিজয় এবং ১৯৩৫ সালের পর লেবার পার্টির সবচেয়ে খারাপ ফল।

জরিপ অনুযায়ী লেবার পার্টি তাদের হাতে থাকা আসনগুলোর মধ্যে ৭১টি হারাতে পারে।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে এটা যুক্তরাজ্যের তৃতীয় সাধারণ নির্বাচন এবং গত একশ বছরের মধ্যে এই প্রথম কোনো নির্বাচন ডিসেম্বর মাসে আয়োজন করা হলো।

এবার নির্বাচনী প্রচারে বরিস জনসন একটাই বার্তা দিয়েছেন আর তাহলো - ব্রেক্সিট কার্যকর করো আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ৩১শে জানুয়ারি ২০২০ এর মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি।

অন্যদিকে লেবার গুরুত্ব দিয়েছে পাবলিক সার্ভিস ও জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা খাতে ব্যয় বাড়ানোর ওপর।

সূত্র : বিবিসি বাংলা। 

মানবকণ্ঠ/এইচকে