Image

কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন এর পদ অবশেষে স্থগিত

বিশেষ প্রতিনিধি: গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর নানাবিধ অপকর্মে জড়িয়ে এখন উপজেলা জুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কালিগঞ্জ উপজেলা শাখার আহবায়ক রোকনুজ্জামান রোকন (৩৬)। শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের কারণে ইসলামী ছাত্রশিবির থেকে বিতাড়িত হয়ে সুকৌশলে বিএনপির অঙ্গসংগঠন কৃষকদলের আহবায়ক পদ পাওয়া রোকনের বিতর্কিত কর্মকান্ডে অল্পদিনেই বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। জনপ্রিয় দল বিএনপির জন্য বিষফোঁড়া হয়ে উঠা সেই রোকনুজ্জামান রোকন এর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক পদ অবশেষে স্থগিত ঘোষণা করেছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।

 

জানা গেছে, উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের ভদ্রখালী গ্রামের জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলামের ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী।কয়েকবছর পূর্বে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকান্ডের কারণে ছাত্রশিবির থেকে বহিস্কার করা হয় রোকনুজ্জামান রোকনকে। সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক এক এমপির আশীর্বাদপুষ্ট রোকনুজ্জামান রোকন গত ০৯/০৫/২০২৩ খ্রি. তারিখে উপজেলা কৃষকদলের পদ বাগিয়ে নেন। সে সময় ঘোষিত কমিটিকে পকেট কমিটি আখ্যা দিয়ে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন ওই কমিটিতে যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে মনোনীত মোঃ রুহুল আমিন। এদিকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বহিস্কৃত ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী রোকনুজ্জামান রোকন কৃষকদলে ঠাঁই পেয়ে হয়ে ওঠেন বেপরোয়া। বিএনপির ত্যাগী নেতা-কর্মীসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে চরম অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে থাকেন তিনি। এমনকি রোকনুজ্জামান রোকন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের উপর হামলা ও মারপিট করেন। হামলা, মারপিট ও চাঁদাবাজির শিকার হয়ে রোকনুজ্জামান রোকনকে ১নং আসামিসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামি করে গত ১৯/০৭/২৩ তারিখে কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মরহুম শেখ মতিয়ার রহমানের ছেলে উপজেলা বিএনপির একাংশের সদস্যসচিব শেখ শফিকুল ইসলাম (৪৮)। রোকনুজ্জামান রোকনের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি তার কর্মকান্ডে নেতা-কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়। বহুলালোচিত রোকনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে গত ০৬/০৭/২৪ খ্রি. তারিখে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিব বরাবর লিখিত আবেদন জানান উপজেলা বিএনপির একাংশের আহবায়ক শেখ এবাদুল ইসলাম ও সদস্যসচিব ডা. শেখ শফিকুল ইসলাম, পৃথকভাবে লিখিত আবেদন করেন যথাক্রমে নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এসএম সেলিম আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শেখ পারভেজ ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শেখ আব্দুল আজিজ। এসব অভিযোগের বিষয়ে একমত পোষণ করে রোকনুজ্জামান রোকন এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের ওই আবেদনে সুপারিশ করেন বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় অর্ধশত বিএনপি নেতা। 

 

এছাড়াও জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর রোকনুজ্জামান রোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত আবেদন জানান সাতক্ষীরা জেলা কৃষকদলের সদস্য ও কালিগঞ্জ উপজেলা কৃষকদলের সাবেক আহবায়ক সোহেল রানা এবং উপজেলা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব আনোয়ারুল কবির। অভিযোগ ওঠে, রোকনুজ্জামান রোকন উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হওয়ার পরপরই অনিয়মতান্ত্রিকভাবে তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে উপজেলার ১২ ইউনিয়ন কৃষকদলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। একই সাথে ঘোষিত কমিটিতে ১নং যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে আনারুল ইসলামের নাম থাকলেও স্বৈরাচারী কায়দায় ২নং যুগ্ম আহবায়ক আরিফুর রহমান ছোটনকে ১নং যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে ঘোষণা করেন রোকন। এছাড়াও সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নানাভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেন রোকনুজ্জামান রোকন সরকারবিরোধী আন্দোলন বাঁধাগ্রস্ত করেন। বর্তমানেও তিনি অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে নিশ্চিন্তে থাকার জন্য অভয় দিচ্ছেন বলে জানান দলটির নেতা-কর্মীরা। 

 

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, রোকনুজ্জামান ইতিপূর্বে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার পক্ষে ড. কাজী এরতেজার ইফতার বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি সাঈদ মেহেদীর সাথে রোকনুজ্জামান রোকনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে গুঞ্জন ওঠে। তিনি বিএনপির রাজনীতির ভিতরে ঘাপটি মেরে থেকে মূলত আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নে পরিকল্পিতভাবে বিভাজন সৃষ্টি ও জনপ্রিয় দল বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্টে লিপ্ত আছেন বলে মনে করেন দুঃসময়ে দলে থাকা ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। গত ৫ আগস্টের পর রোকনুজ্জামান রোকনের নেতৃত্বে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলাম ও তাদের কিছু সহযোগী বিভিন্ন স্থানে লুটপাট-চাঁদাবাজি করে ও সাধারণ মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত করে তোলে। এঘটনায় অন্তত ১৫/১৬ টি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে রোকন ও কাজী শরিফুলের নেতৃত্বে তাদের অপকর্মের দোসররা কালিগঞ্জ থানার সামনে এসে সন্ত্রাসী স্টাইলে সাংবাদিকদের মারপিটসহ প্রকাশ্য নানাবিধ হুমকি দেয়। ওই চক্রটি কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের সামনে যেয়েও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীতে রোকনের পোষা দুই সন্ত্রাসী একজন সিনিয়র সাংবাদিককে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে যেয়ে সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধামকি প্রদান করায় উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের গণমাধ্যম কর্মীসহ সচেতন মহলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ভূলুন্ঠিত করার উদ্দেশ্যে সাংবাদিকদের সাথে রোকন বাহিনীর এই ন্যাক্কারজনক আচরণ ভালভাবে নেয়নি বিএনপির নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। তবে বিভিন্ন গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে অবশেষে গত ২৪/০৯/২৪ তারিখে রোকনুজ্জামান রোকন এর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক পদ স্থগিত করেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারাফ হোসেন। এর আগে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাজী শরিফুল ইসলামকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ও সদস্যসচিব শো’কজ করে তিনদিনের মধ্যে উত্তর দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

 

এব্যাপারে জানার জন্য রোকনুজ্জামান রোকনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কখনই ছাত্রশিবিরের সাথে জড়িত ছিলাম না। আমি এর আগে কালিগঞ্জ স্বেচ্ছাসেবক দল ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ছিলাম এবং সর্বশেষ উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা লুটপাটের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সঠিক নয়।

 

কালিগঞ্জ রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে রহমাতুল্লাহ পলাশ সভাপতি মনোনীত

 

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজে আহবায়ক কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছেন কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক বস্ত্রমন্ত্রী মরহুম অ্যাডভোকেট এম মনসুর আলীর একমাত্র ছেলে এইচএম রহমাতুল্লাহ পলাশ। গত ২৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন উপজেলা বিএনপির একাংশের আহবায়ক কুশুলিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শেখ এবাদুল ইসলামের ছেলে শেখ নাজমুল হোসেন।

 

দীর্ঘ ১৫ বছর পর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট এম মনসুর আলী ও তার সহধর্মিনী বেগম রোকেয়ার সুযোগ্য ছেলে এইচ এম রহমাতুল্লাহ পলাশ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মনোনীত হওয়ায় কলেজের উপাধ্যক্ষ শ্রীবাস চন্দ্র রায়সহ কলেজের সকল শিক্ষক-কর্মচারী তকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

 

কলেজের একাধিক শিক্ষক-কর্মচারি জানান, ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে শ্যামনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একেএম জাফরুল আলম বাবু। তিনি কলেজে যোগদানের পর থেকে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট চালাতে থাকেন। অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারিদের সাথে চরম দুর্ব্যাবহার ও নানাভাবে প্রশাসনিক হয়রানি করেন অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম। দুর্নীতিবাজ ওই অধ্যক্ষের কর্মকান্ডে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত রোকেয়া মনসুর মহিলা কলেজের পূর্বের সুনাম ধীরে ধীরে ক্ষুন্ন হতে থাকে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর ১৭ আগস্ট পর্যন্ত একটানা কলেজে অনুপস্থিত থাকার পর জাফরুল আলম বাবু ১৮ আগস্ট হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য কলেজে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এরপর থেকে আবারও লাগাতার অনুপস্থিত থাকেন তিনি। এরমধ্যে আয়-ব্যয়ের হিসাব পর্যালোচনা ও জাফরুল আলম বাবুর সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৮ জন শিক্ষক-কর্মচারির লিখিত স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনি প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানাজানি হলে দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী অধ্যক্ষের পদত্যাগের একদফা দাবিতে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারি, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্ররা সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। শিক্ষক-কর্মচারিরা আরও জানন, জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সকল শিক্ষক-কর্মচারিদের গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজে উপস্থিত থাকার জন্য কঠোর নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করে স্বৈরাচারী ও দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ জাফরুল আলম বাবু কলেজে অনুপস্থিত থাকেন। একপর্যায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে তিনি কলেজে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে কিছুক্ষণ পর চলে যান। এরপর থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (২৫ সেপ্টেম্বর) তিনি একটানা অনুপস্থিত রয়েছেন। নবগঠিত এই পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এইচ এম রহমাতুল্লাহ এর নেতৃত্বে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ স্বৈরাচার ও দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ একেএম জাফরুল আলম বাবুকে স্থায়ীভাবে অপসারণপূর্বক একজন সৎ ও দায়িত্বশীল অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক-কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা।