Image

পিআর পদ্ধতি নিয়ে যারা কথা বলছেন তারা জনগনের রায়ে ক্ষমতায় এসে পিআর চালু করুক: দুদু

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকে: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, পিআর পদ্ধতি একটি সাংবিধানিক বিষয়। এটি করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। যারা পিআর চাইছেন, তারা যদি জনগনের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসে তাহলে তারা পিআর পদ্ধতি চালু করতে পারে। আমরা ৩১ দফা দাবির মধ্যে নির্বাচন করবো, এবং নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি বিএনপির রয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা হলেই সকল দল নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। 

 

বুধবার (০১অক্টোবর) রাতে সৈয়দপুরের শহীদ  তুলশীরাম সড়কে (দিনাজপুর রোড) কেন্দ্রীয় দুর্গা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, বিএনপি ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী। সকল ধর্মের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আমাদের দেশের সকল ধর্মাবলম্বীদের সমান অধিকার রয়েছে। তাদের প্রতি রয়েছে শ্রদ্ধাবোধও। এমন রাজনীতিকে ধারণ করে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গঠণ করা বিএনপিকে এগিয়ে নিয়েছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ১৬/১৭ বছরে নিরলস প্রচেষ্টায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। গনতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু বলেন,দেশে এখন নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে,যাতে গনতন্ত্র ফিরে না আসে। গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ পালিয়ে গেলেও তারা যে বসে আছে, এমনটি ভাবা যাবে না। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ছাত্র জনতার গণআন্দোলনে নিহতদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করে রলেন,যারা গনতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করেছেন এবং এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবরই বলে আসছেন,আগামি দিনগুলো সহজ হবেনা, নির্বাচনও হবে কঠিণ। এজন্য ঘরে বসে থাকার সময় নেই, এখন থেকে সবার ঘরে ঘরে যেতে হবে।কথা বলতে হবে ৩১ দফার পক্ষে। তিনি বলেন আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বা অন্যান্য দল নানা বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে পারে, তাদের সেই বিভ্রান্ত ঠেকাতে দলের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সময় নষ্ট না করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের সরকার গঠনে কাজ নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।  বিএনপি বড় রাজনৈতিক দল হওয়া সত্বেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীতা ঘোষণা না করলেও জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থীতা চূড়ান্ত করেছে। তারা লিফলেট-পোস্টার প্রস্তুত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে তাই তারা নির্বাচনে যাবে না একা বলা ঠিক না। 

 

পরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে কুশল বিনিময় করে বিএনপির পক্ষ থেকে পূজামণ্ডপের জন্য উপহার প্রদান করেন।

 

এরআগে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতা অধ্যাপক শওকত হায়াত শাহ'র সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব অধ্যক্ষ আব্দুল গফুর সরকার, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন আকতার শাহীন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় যুগ্ম -সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দপুর হিন্দু কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুমিত কুমার আগরওয়ালা (নিক্কি), সৈয়দপুর উপজেলা দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু রাজ কুমার পোদ্দার প্রমুখ।