Image

আমরা ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই: মাওলানা আব্দুল হালিম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর -দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম বলেছেন, উই ওয়ান জাস্টিস, আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। আমাদের ছাত্রদের স্লোগান এই শ্লোগানই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। আমরা যারা এদেশে বসবাস করছি, আমরা সবাই বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক। আমরা ধর্ম ও রাজনীতির নামে কাউকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে চাই না। আমরা বিভক্তি ও বিভাজনের বাংলাদেশ চাই না, সবাই মিলেঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই।


মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সৈয়দপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উপজেলা ও শহর শাখার দায়িত্বশীলদের নিয়ে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি ওইসব কথা বলেন। শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে ওই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।


সকাল ৮ টা থেকে শুরু হওয়া দুই ঘন্টাব্যাপী এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি বিশেষ অতিথি রংপুর দিনাজপুর অঞ্চল টিম সদস্য আব্দুর রশিদ, নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমীর ও নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাওার। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর সৈয়দপুর শহর আমীর শরফুদ্দিন খান। শহর সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলীর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা নায়েবে আমীর ড. খায়রুল আনাম, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলাম, জেলা মাজলিসে শূরা সদস্য ও সৈয়দপুর উপজেলা আমীর জামায়াত মনোনীত নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ফোরামের জেলা সভাপতি আখতারুজ্জামান বাদল।

 

কর্মশালায় প্রধান অতিথি মাওলানা আব্দুল হালিম আরও বলেন, ধর্ম ও দল পরিচয়ের কারণে ইসলামী ছাত্রশিবিরের অনেক নেতার মেধা থাকা সত্বেও বৈষম্যের শিকার হওয়ায় যোগ্য স্থানে মূল্যায়িত হয়নি। এমনকি এই বৈষম্যের কারণে যারা বিএনপির রাজনীতি করে বা সমর্থক তাদেরও চাকরি হয়নি।


তিনি বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধেই ছাত্ররা রুখে দাঁড়িয়ে তুমি কে আমি কে স্লোগানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উঠেছিল। যার ফলে চব্বিশের গণ অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার সম্মিলন ঘটে। আর তাই ১৭ বছর ধরে জেঁকে বসা ফ্যাসিস্টের বিদায় হয়েছে। মানুষ আর বিভাজনের বাংলাদেশ চায়না। আর এজন্যই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের দায়িত্বশীলদের প্রস্তুত হতে হয়ে জন আকাঙ্খা পূরণে কাজ করতে হবে। যাতে বৈষম্যহীন ঐক্যবদ্ধ সমৃদ্ধ ও কল্যাণমুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলে দেশবাসীকে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ দেয়া যায়। কর্মশালায় সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর শাখার বিভিন্ন ইউনিটের তিন শতাধিক দায়িত্বশীল অংশ গ্রহণ করেন।