Image

ট্রাম্পের প্রস্তাবিত চুক্তি প্রত্যাখ্যান ইরানের

পরমাণু ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরান। তার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রস্তাবিত ট্রাম্প চুক্তি নাকচ করেছে তেহরান।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ওই চুক্তিকে উদ্ভট আখ্যা দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। আর বুধবার ট্রাম্পের চুক্তির স্থায়িত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।

২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, রাশিয়া, জার্মানি ও ফ্রান্সের কাছে ইউরেনিয়াম প্রকল্প সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ইরান। চুক্তি অনুযায়ী, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি না করার প্রতিশ্রুতি দেয় তেহরান।

ওবামা আমলে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে ক্ষয়িষ্ণু ও পচনশীল আখ্যা দিয়ে ২০১৮ সালের মে মাসে তা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর নভেম্বরে থেকে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল শুরু করে ওয়াশিংটন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই চুক্তির প্রতিশ্রুতি থেকে পর্যায়ক্রমে সরে যায় তেহরান। সবশেষ ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ওই চুক্তি পুরোপুরি না মানার ঘোষণা দেয় ইরান। সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির করা ওই চুক্তির বিকল্প হিসেবে ট্রাম্প চুক্তি প্রকাশ করেন ট্রাম্প।

এরপর মঙ্গলবার ওই চুক্তির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মহান চুক্তিকারী আখ্যা দিয়ে তার প্রশংসা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ট্রাম্প বলেছেন, ট্রাম্প চুক্তিটি ইরানের পরমাণু চুক্তির প্রতিস্থাপন হতে পারে।

তেহরানের দাবি হচ্ছে, আগে তাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হোক। রুহানি বলেছেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কী ভেবে এমনটা বলেছেন, তা আমি জানি না। তিনি (বরিস) বলছেন, পরমাণু চুক্তিকে একপাশে রেখে ট্রাম্পের পরিকল্পনা কার্যকর করতে। আপনি যদি ভুল পদক্ষেপ নেন, তাহলে আপনারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। পরমাণু চুক্তিতে ফিরে এসে সঠিক পথ প্রহণ করুন।

ইরানের ওপর থেকে যত দ্রুত সম্ভব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে তেহরান পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রুহানি। মঙ্গলবার ওই চুক্তির ব্যাপারে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এমন এক পদক্ষেপ নিয়েছে, যার ফলে তেহরানের ওপর আবারো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হতে পারে।

মানবকণ্ঠ/এআইএস