Image

বিনাশর্তে আলোচনায় রাজি ওয়াশিংটন

যুক্তরাষ্ট্র বলছে তারা ইরানের সাথে কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনা করতে প্রস্তুত আছে। জাতিসংঘে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র এই অবস্থানের কথা বলেছে। তবে ওই চিঠিতে. আত্মরক্ষার পদক্ষেপ হিসেবে ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পক্ষে সাফাই গাওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে। ইরানের সঙ্গে কোনো শর্ত ছাড়াই আলোচনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত তেহরানের রাষ্ট্রদূত মজিদ তখত রাভানচি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে এটিকে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে অসম্ভব বলেও উল্লেখ করেন। গতকাল দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়।

তিনি বলেন, তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সহযোগিতার জন্য আহ্বান করেছেন এটা অসম্ভব। সোলাইমানি হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার ইরাকে অবস্থিত দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে একের পর এক মিসাইল হামলা চালায় ইরান। যদিও এতে আমেরিকান সৈন্যদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। ইরানও জাতিসংঘে বলেছে যে নিজেদের রক্ষার জন্যই এ মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে।

চিঠিতে যা বলা হয়েছে : জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া এক চিঠিতে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেলি ক্র্যাফট বলেছেন, ইরানের দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা যাতে হুমকির মুখে না পড়ে এবং উত্তেজনা যাতে বৃদ্ধি না পয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে তৈরি আছে। যুক্তরাষ্ট্রের চিঠিতে বলা হয়, সোলাইমানি হত্যাকাণ্ড সঠিক পদক্ষেপ ছিল। জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো রাষ্ট্র যদি নিজেদের রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নেয় তাহলে সেটি দ্রুত জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে অবহিত করতে হবে। চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সৈন্য এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেবে। অন্যদিকে জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা উল্লেখ করে ইরানও চিঠির মাধ্যমে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছে।

জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত রাভানচি এক চিঠিতে জানিয়েছেন, ইরান কোনো যুদ্ধ কিংবা উত্তেজনা বাড়াতে চায় না। মার্কিন ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট এবং যথাযথ সামরিক পদক্ষেপের মাধ্যমে ইরান আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত। এই অভিযান ছিল সুনির্দিষ্ট সামরিক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে সামরিক ছাড়া কোনো বেসামরিক মানুষ এবং তাদের সম্পদের কোনো ক্ষতি হয়নি, চিঠিতে জানিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রদূত।

মানবকণ্ঠ/টিএইচডি