Image

সৈয়দপুরে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও পৌরসভার যৌথ সহযোগিতায় ডিম ও মুরগী বিক্রি শুরু

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নীলফমারীর সৈয়দপুরে সুলভমূল্যে মুরগী ও ডিম বিক্রি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) থেকে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কে আশা সার্জিক্যাল শপের বিপরীতে ওই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এতে যৌথভাবে সহযোগিতা করছে সৈয়দপুর পৌরসভা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের এ আর এগ্রো ফার্ম ও কাজীপাড়ার রিফাত মৎস্য এন্ড  পোল্ট্রি খামারের উদ্যোগে ওই ডিম ও মুরগী বিক্রি করা হচ্ছে।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,  প্রতি পিস মুরগীর ডিম ৯ টাকা,  ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১৭০ টাকা এবং সোনালী কালার বার্ড মুরগী প্রতি কেজি ২৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে।
 
 শহরের কাজীপাড়া এলাকার রিফাত মৎস্য এন্ড পোল্ট্রি খামারের স্বত্বাধিকারী মো. রফিকুজ্জামান রকি জানান, পবিত্র মাহে রমজানে সাধারণ জনগনের সুবিধার্থে সুলভ মূল্যে ডিম ও মুরগী বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়। যাতে ক্রেতা সাধারণ সহজেই ডিম ও মুরগীর মাংস খেয়ে সিয়াম সাধনা পালন করতে পারেন। তিনি জানান, প্রথম দিনেই ৫ হাজার পিস মুরগীর ডিম ও ৬ শ’ পিস মুরগী বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রি করা মুরগীর মধ্যে সোনালী কালার বার্ড ছিল ৫০০পিস এবং ব্রয়লার ছিল ১০০পিস। সকাল আটটা থেকে ছয় শত গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত পরিমাণের মুরগী বিক্রি করা হয়।
 
শুক্রবার সুলভমূল্যে মুরগী ডিম ও মুরগী বিক্রির স্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের প্রচন্ড ভীড়। বাজারের চাইতে সস্তায় এসব ডিম ও মুরগী কিনতে ক্রেতারা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। কেউ এক খাচাঁ অর্থাৎ ৩০টি কেউবা এক হালি, দুই হালি কিংবা প্রয়োজন অনুযায়ী ডিম কিনছেন। মুরগীর ক্ষেত্রেও একই দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে। ক্রেতাদের
ভীড়ে বেলা সাড়ে ১১টার মধ্যে বিক্রির জন্য ফার্ম থেকে নিয়ে আসা সব মুরগ বিক্রি হয়ে যায়।  তবে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মুরগির ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ডিম ও মুরগীর বিক্রির ক্ষেত্রে কোন রকম নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করা ছিল না। যার যেটুকু প্রয়োজন তিনি সেই পরিমাণ ডিম কিংবা মুরগী কিনতে পেরেছেন। সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার রায় বলেন, পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে আমার দপ্তর ও খামারিদের উদ্যোগে সুলভমূল্যে সরাসরি ভোক্তাদের মাঝে ডিম ও মুরগী বিক্রয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে ভোক্তারা যেমন সুলভমুল্যে সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে ডিম ও মুরগী কিনতে পারছেন, তেমনি খামারিরাও তাদের  খামারে উৎপদিত ডিম ও মুরগীর  ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। এতে ভোক্তাদের  উচ্চমূল্যে ডিম ও মুরগী কিনতে হচ্ছে না, খামারিরাও বঞ্চিত হচ্ছে না তাদের উৎপাদিত ডিম ও মুরগীর ন্যায্যমুল্যে থেকে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমছে।