Image

বিষ্ণুপুর ইউপির মেম্বর আফছারের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

আরাফাত আলী: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বর আফছার উদ্দীনের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। একের পর এক টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ওই মেম্বরের বিষয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, উপজেলার পারুলগাছা শীতল মোড়লের হাটে সরকারি উদ্যোগের প্রায় ২ বছর আগে দু’টি টিনশেড চাঁদনী তৈরী করা হয়। এসময় ওই হাটে অবস্থিত একটি বটগাছ নিজ উদ্যোগে বিক্রি করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আফছার উদ্দীন। তখন জনসম্মুখে বটগাছ বিক্রির ৬ হাজার টাকা পার্শ্ববর্তী পারুলগাছা মোজাদ্দেদিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও ইয়াতিমখানায় প্রদান করা হবে বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছরেও গাছ বিক্রির টাকা সরকারি ফান্ডে কিংবা ইয়াতিমখানায় না দিয়ে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ করেন সচেতন মহল। সম্প্রতি জেলা পরিষদের দু’টি গাছের ডালপালা বিক্রি করে ২৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে ইউপি সদস্য আফছার উদ্দীনের বিরুদ্ধে। তাছাড়া পারুলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমাানা প্রাচীর নির্মাণের লক্ষ্যে কর্তনকৃত একটি মেহগনি গাছের গুড়ি রাতের আধারে চুরি করে নিয়ে সেখানে রাখা হয় একটি ছোট গাছের গুড়ি। চুরি করে নেয়া মেহগনি গাছের গুড়ির আনুমানিক মূল্য ৮০ হাজার টাকা। তার স্থলে রেখে যাওয়া গাছের গুড়ির মূল্য ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। ওই গাছের গুড়ি সরানোর ঘটনায় ইউপি সদস্যের সংশ্লিষ্টতা থাকার গুঞ্জন উঠলে বিষয়টি তদন্তে যান ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নয়ন কুমার সাহা। কিন্তু বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের তৎপরতায় বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায় বলে এলাকাবাসি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য আফছার উদ্দীনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি পারুলগাছা শীতল মোড়লের হাটের একটি বটগাছ বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে গাছ বিক্রির টাকা নিজের কাছে রেখেছেন নাকি কোথাও দিয়েছেন সেটা ঠিক স্মরণ করতে পারছেন না বলে জানান।