Image

নাটোরে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ নিয়ে অতিরঞ্জিত প্রচারের প্রতিবাদ করেছেন ছাত্রদল নেতা রাকিব

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব স্থানীয় এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণ মাধ্যমে অতিরঞ্জিত প্রচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি এই অতিরঞ্জিত প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বাস্তবসম্মত তথ্য প্রচারের অনুরোধ জানান। রাকিবুল ইসলামের পিতা সাবেক বনপাড়া পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব, সাবেক উপজেলা যুবদল সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি সর্দার রফিকুল ইসলাম তার ছেলে ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলামের স্বাক্ষরিত প্রতিবাদ পত্রটি স্থানীয় প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের প্রদান করেন।

প্রতিবাদ পত্রে রাকিবুল ইসলাম উল্লেখ করেন, আমি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বনপাড়া পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। আজ ২৬ জুন ২০২৫ ইং তারিখ রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯:১২ মিনিটে বনপাড়া ডিগ্রী কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে উপস্থিত হই। এ সময় আমার এক ছোট ভাই এসে জানায় তার চাচাতো ভাই পরীক্ষা দিচ্ছে এবং তার এডমিট কার্ডটি বাড়িতে রেখে এসেছিলো যা সে নিয়ে এসেছে। এই এডমিট কার্ডটি তার (পরীক্ষার্থীর) কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যেহেতু স্থানীয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সকলেই আমার পরিচিত তাই আমি হলে গিয়ে এডমিট কার্ডটি দিয়ে আসি। তখন সময় সকাল ৯:২৪ বাজে। যেহেতু পরীক্ষা শুরু ১০টায় সেহেতু আধাঘন্টা আগে আমি একজন শিক্ষার্থীকে সাহায্য করতে সরাসরি গিয়েছিলাম। আমার আচরণে কারও কোন ডিস্টার্ব হয়নি। আমি ৯:৩১ মিনিটে হল ত্যাগ করি। এ সময় আমার মতো এভাবেই প্রবেশ করা বহিরাগত অন্য কেউ আমার ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং তা ভাইরাল হয়। আমি দৃঢ়ভাবে বলি, আমি সুস্থ রাজনৈতিক চর্চা করে থাকি। কোন অন্যাায় বা অসংলগ্ন কাজের সাথে আমি জড়িত নই। শুধুমাত্র আমার ও আমার পিতা সর্দার রফিকুল ইসলাম এর রাজনৈতিক সুঅবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে এবং সামনের বনপাড়া পৌর বিএনপি’র কমিটিতে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠি সুবিধা নেওয়ার লক্ষ্যে এই ঘটনাটিকে অতিরঞ্জিত করে তুলেছে। আমাকে ঘিরে ফেসবুক সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে প্রচার ছড়িয়ে পড়েছে তা অতিরঞ্জিত। আমি এই অতিরঞ্জিত প্রচারের প্রতিবাদ করছি এবং বাস্তবসম্মত তথ্য প্রচারের অনুরোধ জানাচ্ছি।

উল্লেখ্য, পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রদল নেতা রাকিবুল ইসলাম রাকিবের প্রবেশকে ঘিরে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পর জেলা ছাত্রদল রাকিবুল ইসলামকে বহিস্কারাদেশ প্রদান করেছেন।