Image

শ্যামনগরে চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগর চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

৯ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে জানান,গাবুরার চকবারা গ্রামের মৃত রজিব উদ্দীন মোল্যার পুত্র মোস্তফা শহীদুল্যাহ।

 

তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টাস এসোসিয়েশন (ক্রাব) ঢাকা মিলনায়তনে শ্যামনগর সাতক্ষীরা ৪ আসনের সাবেক এম,পি গাজী নজরুল ইসলাম কে জড়িয়ে তার ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা সহ ঘৃন্য উদ্দেশ্য চরিতার্থের জন্য সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, যারা সংবাদ সম্মেলন করেছিল তাদের কে গাবুরা এলাকার কতিপয় কুখ্যাত খুনি, দস্যু, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। চকবারার আরমান গাজীর পুত্র হযরত আলি সহ তার বাহিনীর  সন্ত্রাসী, ডাকাতি সহ সমাজ বিরোধী কার্য্য ক্রমের তথ্য দালীলিক ভাবে তুলে ধরে বলেন, তার আপন ভাই আঃ রউফ কুখ্যাত ডাকাত ওরফে রউফ ডাকাত নামে পরিচিত। আব্দুর রউফ আর গ্রামের বাড়িতে আসেনা,বরং পলাতক। আব্দুল হাকিম তার বড় ভাই ও তার ছেলে ২০২৫ সালে তার বাড়ি হতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে দেশী ও বিদেশী অস্ত্র সহ ধরে নিয়ে জেল হাজতে চালান দেয়। এরা এলাকায় চাঁদাবাজ ও চিন্নিত সন্ত্রাসী।

হযরতসহ তারা তিন ভাই কাশেম হত্যার আসামী। এদের নামে অনেক গুলো মামলা আছে। হযরত আলির ছেলে আব্দুল্যাহ এক বৎসরে কাছারী তৌহশীল অফিসে দালালী করে অবৈধ টাকা কালেশন করে দোতালা বিল্ডিং দিয়েছে। তাদের বাপ-বেটার কোন চাকুরী বা ব্যবসা নাই, এমনকি জায়গা জমি নাই। চাঁদাবাজী ও অবৈধ টাকা কালেকশান তার আয়ের উৎস্য। মতিয়ার রহমান গাজীর পুত্র নজরুল ইসলাম গাজী একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট করে দিবে বলে বহু লোকের নিকট হতে টাকা কালেকশান করে। তার আপন চাচা আবুজার গাজীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কালেকশান করে। এছাড়া আরও ৮-১০ জনের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিবে বলে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা কালেকশান করার অভিযোগ উঠেছে।মুনছুর গাজীর পুত্র মিজানুর রহমান ও মোঃ আমিনুর রহমান ঠকবাজ, প্রতারক। তারা আওয়ামীলীগের দোষর। এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে বিএনপি ও জামায়াত এর দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেছিল। চাঁদা না দেওয়ার কারণে বিভিন্ন লোকের নামে ১৭টি মামলা দিয়েছে। তার ভাই-বোনদের বাবার সম্পত্তির অংশ না দিয়া দুই ভাই আত্মসাৎ করিয়াছে। তারা একই শরীকের লোক হওয়ায় মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে গাজী নজরুল ইসলামের নামে প্রপাগন্ডা ছড়াচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ নিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। 

 

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-সাহজাহান, ইয়াকুব আলী, অয়েজকুরুনী ও মনজুর সরদার প্রমুখ।