Image

চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারল বাংলাদেশ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে আসরে অংশ নেয়া দলগুলো। গা গরমের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টাই করে দক্ষিণ আফ্রিকায় দারুণ শুরুই করেছিল বাংলাদেশি যুবারা।

তবে দ্বিতীয় ম্যাচে চরম ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিল আকবর আলীর দল। নিউজিল্যান্ডের কাছে গতকাল ৪ উইকেটে হেরেছে তারা।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের ছোড়া ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জেতে নিউজিল্যান্ড।

জোহানেসবার্গে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে কিউই বোলারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় মাত্র ২৩ রানেই সাজঘরে ফেরেন প্রথম সারির ৫ ব্যাটসম্যান। প্রথম ওভারে পরপর দুই বলে আউট হন ওপেনার তানজীদ হাসান ও তিনে নামা মাহমুদুল হাসান।

দলীয় ৯ রানে বিদায় নেয়া তানজীদের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। এরপর শূন্য হাতে ফেরেন মাহমুদুল। স্কোরবোর্ডে আর কোনো রান যোগ হওয়ার আগে বিদায় নেন ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলও। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

আর মাত্র দুই রান যোগ হতে সতীর্থদের পথ ধরেন শাহাদাত হোসেন। তানজীদ ও মাহমুদুলকে আউট করা জো ফিল্ডই ফেরান তাকে। তৌহিদ হƒদয় পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করলেও তাতে বাধ সাধেন ওই ফিল্ড। এবার ৬ রান করা ইমনকে তিনি দেখিয়ে দেন সাজঘরের পথ।

তখনই মূলত ম্যাচ হাতছাড়া করে ফেলে বাংলাদেশ। অধিনায়ক আকবর আলীকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ করেন তৌহিদ।

কিউই পেসারদের সামনে লড়াই করতে থাকা এ ব্যাটসম্যান আউট হন ব্যক্তিগত ৩৬ রান করে। ইনিংস সর্বোচ্চ রান সেটিই। আটে নেমে শামিম হোসেন করেন ২০ রান। আকবরের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। আর তাতে ভর করে ১১২ রানেই থামে বাংলাদেশের রানের চাকা।

রান তাড়ায় নেমে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং বিপর্যয়ে না পড়লেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। তবে সংগ্রহ মামুলি বলে লক্ষ্যে ঠিকই পৌঁছে যায় কিউই যুবারা। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। ওলি হোয়াইটকে (১ রান) আকবরের গ্লাভসবন্দি বানান শরিফুল ইসলাম।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে বাংলাদেশি বোলারদের ভালোই সামাল দেন রিস মারিয়ু ও ফেরগুস লেলম্যান। দলীয় ৪৮ রানে লেলম্যানকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন তানজীদ হাসান। পরের ওভারে ওপেনার মারিয়ু আউট হলে লড়াইয়ের সম্ভাবনা জাগায় রাকিবুল হাসান।

তবে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক জেসে তাশকফ একা হাতে ম্যাচ বের করে নেন। অপরাজিত থাকেন ৪১ রান করে। আরো তিন উইকেট হারালেও কুইন সুন্ডেকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছাড়েন তাশকফ। সুন্ডে অপরাজিত থাকেন ১৯ রান করে।

মানবকণ্ঠ/এআইএস