Image

ম্যাক্সওয়েল বীরত্বে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক: গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বীরত্বে পরাজয়ের শঙ্কা কাটিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া। বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরে তৃতীয় দল হিসেবে সেমিতে উঠল রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।

বিশ্বকাপের এবারের আসরে ৮ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে স্বাগতিক ভারত। ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিতে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। আট ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া।

মঙ্গলবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৯২ রানের টার্গেট তাড়ায় ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ার উপক্রম হয় অস্ট্রেলিয়ার।

দলের এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ১৭০ বলে ২০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ম্যাক্সওয়েল।

ধংসস্তূপে দাঁড়িয়ে অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ১২৮ বলে ২১টি চার আর ১০টি ছক্কায় ২০১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন ম্যাক্সওয়েল।

বিশ্বকাপের চলমান ১৩তম আসরের ৩৯তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৯১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে আফগানিস্তান।

টার্গেট তাড়া করতে নেমে দলীয় ৪ রানে নাভিন উল হকের শিকার হয়ে ফেরেন ট্রাভিস হেড। এরপর মিচেল মার্শের সঙ্গে ২৬ বলে ৩৯ রানের জুটি গড়েন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এক উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৪৩ রান।

এরপর ৪৮ রানের ব্যবধানে অস্ট্রেলিয়া হারায় ৬ উইকেট। ২৪, ১৮, ০, ১৪, ও ৫ রানে আউট হন মিচেল মার্শ, ডেভিড ওয়ার্নার, জশ ইনজেলস, মার্নাস লাবুশেন, মার্কাস স্টয়নিস ও মিচেল স্টার্ক। দলের এমন চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। 

মঙ্গলবার ভারতের মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে আফগানরা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ ওভারে দলীয় ৩৮ রানে ফেরেন ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ (২১)।

ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে ১০০ বলে ৮৩ রানের জুটি গড়েন রহমত শাহ। দলীয় ১২১ রানে ৪৪ বলে এক বাউন্ডারিতে ৩০ রান করে ফেরেন রহমত শাহ। 

চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। তৃতীয় উইকেটে তারা ৭৬ বলে ৫৩ রান করেন। ৪৩ বলে দুই বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে ফেরেন হাশমতউল্লাহ।

এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তিনি ১৮ বলে দুই চার আর এক ছক্কায় ২২ রান করেন। ১০ বলে মাত্র ১২ রান করে ফেরেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।

ইনিংসের শেষদিকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ইব্রাহিম জাদরান ও সাবেক অধিনায়ক রশিদ খান। ষষ্ঠ উইকেটে তারা মাত্র ২৮ বলে ৫৮* রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। তাদের এই জুটিতেই তিনশর দোরগোড়ায় গিয়ে পৌঁছায় আফগানিস্তান।

ইনিংস ওপেন করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেন ইব্রাহিম জাদরান। তিনি ১৪৩ বল খেলে দলীয় সর্বোচ্চ ১২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। মাত্র ১৮ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন রশিদ খান।