Image

এবার দুই গ্রুপের ইজতেমা হবে আলাদা

তাবলীগের দিল্লীর নিজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভী আসন্ন বিশ্ব ইজতেমায় আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন সাদ বিরোধী মুরব্বিরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে ‘তাবলিগ জামাতের চলমান পরিস্থিতি ও বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তারা এ তথ্য জানান।

তাবলীগের শুরাপন্থি মুরব্বি মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, আগে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হলেও এবার দুই গ্রুপের আলাদা ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। শুরাপন্থিদের ইজতেমা ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি এবং সাদপন্থিদের ইজতেমা ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। দু’পন্থির কোনো ইজতেমাতেই মাওলানা সাদ আসতে পারবেন না।

মতবিনিময়কালে তাবলীগের মুরব্বি মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মাওলানা আমানুল হক, ক্যাপ্টেন (অব.) ইফতেখার আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মাহফুজুল হক বলেন, মাওলানা সাদ কান্ধলভী ইসলামের মূল বিধিবিধান নিয়ে অনেক বিতর্কিত কথা বলেছেন। এছাড়া তিনি শুরার সাথে কোন প্রকার পরামর্শ ছাড়াই নিজেকে আমির হিসেবে ঘোষণা করেছেন। যা শরীয়ত সম্মত নয়। এজন্য আমরা তাকে মানতে পারিনা। দেশে ওয়াসিফুল ইসলাম ছাড়া অন্য কোন মুরব্বি তার অনুসরণ করেন না। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে অনেকে তাবলিগের সংকটকে সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থী বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন, এটা ভুল। কারণ, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাবলিগ পরিচালিত হচ্ছে যৌথ নেতৃত্ব তথা শুরার মাধ্যমে। এখানে একক কেউ নেই।

মাহফজুল হক জানান, এবার তাবলিগ জামাতের ইজতেমা এক পর্বেই হচ্ছে। আর সেটা ১০ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে। শুরাপন্থিদের এ ইজতেমায় একসাথে ৬৪ জেলার মুসল্লিরাই অংশ নেবেন। এতে দিল্লীর নিজামুদ্দিনের মুরব্বি মাওলানা আহমদ লাট, মাওলানা ইব্রাহিম দেওলা প্রমুখ বয়ান করবেন। পরের সপ্তাহে মাওলানা সাদের অনুসারীরা ইজতেমা করলেও সেটাকে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব বলা যাবে না। সেটা আলাদা ইজতেমা বলা যেতে পারে।

শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, সাম্প্রতিককালে কিছু কারণে তাবলীগে সংকট দেখা দিয়েছে। এ সংকট আদর্শিক। মাওলানা সাদের ভ্রান্ত মতাদর্শের কারণেই মূলত আলেমরা তার বিরোধিতা করছেন। শুধু বাংলাদেশের আলেমরা নন, সারা বিশ্বের আলেমরাই তার বিরোধিতা করেছেন। খোদ দিল্লীর নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকেই প্রথম সাদবিরোধিতা শুরু হয়। পরে দারুল উলুম দেওবন্দও এ ব্যাপারে ফতোয়া দেন। সেই ফতোয়ার ভিত্তিতেই বাংলাদেশের আলেমরা সাদ সাহেবের ভ্রান্ত মতাদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন।

আমানুল হক বলেন, মাওলানা সাদ শুধু তাবলীগের নয় তিনি নিজেকে সব মুসলমানের আমির হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাকে না মানলে তাদের কাফের বলে ঘোষণা করেছেন। এ কারণেই তাবলীগে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কিন্তু ওয়াসিফুল ইসলাম জনগণকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন।

মানবকণ্ঠ/আরবি