Image

সৈয়দপুরে "দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও" শীর্ষক বিএনপির লিফলেট বিতরণ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি  : 'দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও' শীর্ষক গণসংযোগমুলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। 
 
জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকারের নেতৃত্বে এ কর্মসূচিতে অংশ নেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর শাহীন আকতার শাহীন, যুগ্ম সম্পাদক শামসুল আলম ও প্রভাষক শওকত হায়াত শাহ, প্রচার সম্পাদক আবু সরকার, সৈয়দপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ বাবলু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান কার্জন, কিশোরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ডালিম, জেলা যুবদলের আহবায়ক সাবেক পৌর কাউন্সিলর তারিক আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক রেজওয়ান আক্তার পাপ্পু, যুবদল নেতা আব্দুস সাত্তার বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জয়নুল আবেদীন,  জেলা মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক রুপা বেগমসহ ছাত্রদল, কৃষকদল, শ্রমিক দল নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ কয়েকটি গ্রুপে ভাগ হয়ে শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক, শহীদ ডা. সামসুল হক সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়ক, শহীদ জহুরুল হক সড়কের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীসহ পথচারী, যানবাহন চালক ও যাত্রী সাধারণের হাতে লিফলেট তুলে দেন। 
 
লিফলেটে বলা হয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধির ফলে কোটি কোটি মানুষ নিঃস্ব, ক্ষুধার্ত ও ঋণগ্রস্থ। নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। বর্তমানে মানুষজন অস্বস্তিতে রয়েছেন। বর্তমান সরকারের অপশাসন, লাগামহীন লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচারের ফলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং দেশ ও দেশের জনগণের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। 
 
গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকার কারণে দেশের গণতন্ত্রসহ কিছুকে জলাঞ্জলী দেয়া হয়েছে। নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছে রাজনীতি, সমাজ, সংস্কৃতি, প্রশাসন, বিচার ও শিক্ষা ক্ষেত্রে।
 
শুধুমাত্র বাক্তি শাসন ও লুটপাটের রাজত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য রাষ্ট্রশক্তি তথা প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী- এমনকি বিচার বিভাগকে যথেচ্ছা বেআইনীভাবে ব্যবহার করে জনগণের ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলনকে দমন করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অন্যায়ভাবে বন্দী করা হয়েছে গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। প্রতিবাদের সকল গণতান্ত্রিক কার্যক্রম রাষ্ট্রযন্ত্রের অপপ্রয়োগের মাধ্যমে বাধাগ্রস্থ করা হচ্ছে।
আর তাই, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার, ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মাতৃভূমির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য দেশে সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দল, শ্রেণী-পেশার সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সচেতন জনগণের ইস্পাত কঠিন ঐক্য ও অব্যাহত সাহসী লড়াইয়ের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে তাদের অপশাসন, লুটপাট, দুর্নীতি, অনাচার ও অত্যাচার থেকে দেশকে মুক্ত করার আহবান জানানো হয় ওই লিফলেটে।