Image

একটি অবিস্মরণীয় কবিতা লিখব বলে

সে পড়ত ক্লাস সেভেনে
আমি পড়তাম ক্লাস সিক্সে
আমি তাকে আপনি বলতাম, সে বলত তুই।
মাঝে মাঝে আমাদের চোখাচোখি হত বটে।

এরপর একদিন—
দুজনেই যখন জানতে পারলাম, আমাদের জন্ম একই বছরে, তখন আমি তার গালে ছোট করে একটা থাপ্পড় মেরেছিলাম, সেও আমাকে থাপ্পড় মেরেছিল।
তারপর দুজনে হি হি করে হেসে উঠেছিলাম। আঙুলের ফাঁকে আঙুল রেখে গম খেতের আল ধরে হেঁটেছিলাম।
রজনীগন্ধা সিনেমা হলের ক্যানভাসার তখন বলছিল:
ছবির নাম, এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে, শাবনুর কথা দিয়েছে রিয়াজকে, রিয়াজ কথা দিয়েছে শাবনুরকে। হ্যাঁ ভাই, না দেখলে মিস। গানের ছবি, প্রেমের ছবি...

বাঁধন ছিঁড়ে গেছে।
বিউটি এখন রাণী এলিজাবেথের দেশের বাতাসে রোজ ভেজা চুল শুকায়।
ফুটফুটে বাচ্চা হয়েছে, নাম রেখেছে— বাঁধন।
আমারও একটা ফুটফুটে বাচ্চা হয়েছে, নাম রেখেছি— অবিস্মরণীয়।
আমি চিলমারি বন্দরে বসে রোজ অদৃশ্য নাবিকের আসা-যাওয়া দেখি।

শীতের রোদে রেণুদের টালের কাঁচা মরিচগুলো চিকচিক করে ওঠে। তাও দেখি।
ভাতের সাথে দেশি মোরগের পাতলা ঝোল খেতে খেতে কচ করে কাঁচা মরিচে কামড় দেই।
বিউটি, আমার গালে ঝাল লেগেছে।

লেখক- মোহাম্মাদ জাকারিয়া: চিত্রনির্মাতা ও সাহিত্যিক।

মানবকণ্ঠ/এইচকে