Image

ফড়িং ও পুুতুল মেয়ে

হেমন্তের হীমেল রাত পেরুলেই নানার বাড়ি যাবে ফড়িং ছানা। ঘুমহীন সবুজ পাতার নিচে স্বপ্ন বপন চোখে, ভোর গড়িয়ে সকাল হতেই; সূর্যের আলোর পরশ পেতেই ঘাসে ভেজা শিশির ধীরে ধীরে বিলীন হলো। এবার সবুজ পাতার ভেতর থেকে বেরিয়ে ফড়িং ছানা রওনা হলো পাটাচোরা তীরধরা দ্বীপে তার নানার বাড়ি। পাখা মেলে উড়ে উড়ে সবুজ ডালের এ ডগা সে ডগা অতিক্রম করে চলল। অপরূপা মায়াবী দৃশ্য তার চোখে।

এক কৃষাণ তার ছোট্ট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গরু গাড়ি করে ধান আনতে মেঠো পথে যাওয়া দেখে, ফড়িং ছানার খুব ভালো লাগল। তাই সে হেলেদুলে চলা গরুর গাড়িতে এসে পুতুল মেয়েটির সামনে পেখম মেলে বসল। মেয়েটি হেসে উঠে বলল, ‘বাহ্ ফড়িংটি খুব সুন্দর তো! আজকের সকালটি সত্যিই অনন্য। রাতে বাড়িতে মায়ের হাতে নবান্নর বিভিন্ন স্বাদের বানানো পিঠা, সকালে খেয়ে বাবার সঙ্গে যাচ্ছে তীরধরা মাঠে ধান আনতে। সবুজ শ্যামল চতুর্দিকের মাঠ। গরুর গাড়িতে বাবার সঙ্গে আমি এবং ফড়িং ছানা যাচ্ছি। আজ যে আমার কি আনন্দ!’