Image

হোয়াটসঅন এর বেস্ট রাইটার কবি শাহীন রেজা

ইউকে বেজড্ জনপ্রিয় পত্রিকা হোয়াটসঅন চলতি বছর তাদের বেস্ট রাইটার ক্যাটাগরিতে কবি শাহীন রেজাকে মনোনীত করেছে। পত্রিকাটির ঢাকা অফিসে এক জমকালো আয়োজনে তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এতে তিনি ছাড়াও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে যারা পুরস্কৃত হন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আইকন অব দ্য ইয়ার সামিনা চৌধুরী। বেস্ট আর্টিস্ট শম্পা রেজা। বেষ্ট ব্যান্ড বাংলা ফাইভ। বেস্ট সিঙ্গার আহমেদ হাসান সানী ও জেফার রহমান। বেস্ট মিউজিশিয়ান আনুস তাজওয়ার। বেস্ট রাইজিং স্টার শ্রেয়া ম্রং। বেস্ট ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙ।

জীবনঘনিষ্ট অথচ বোহেমিয়ান কবি শাহীন রেজা’র জন্ম বাষট্টির উনত্রিশে মে পিরোজপুর জেলায় পুখরিয়া গ্রামে। বাবা আব্দুল হালিম, মা সাহানারা বেগম।

প্রথম ছড়া প্রকাশিত হয় বাহাত্তরে, কবি তখন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। নবম শ্রেণীতে থাকাকালীন প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতা, সময়কাল উনিশ’শ পঁচাত্তর। বিরাশিতে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কবিতার বই ‘অগ্নির স্রোতে জল’। দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘তুমি’। তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘তোমার জন্য দুপুর’।

এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা একুশ। কবিতার বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইতিমধ্যে লাভ করেছেন অসংখ্য পদক ও সম্মাননা।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সুকান্ত স্মারক সম্মাননা, ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি এ্যাওয়ার্ড, ঢাকা পোষ্ট সম্মাননা, ফররুখ সাহিত্য পুরস্কার, মোনাজাত উদ্দিন স্মৃতিপদক, শেরেবাংলা সাহিত্য সম্মাননা, ধানশীষ স্বর্ণপদক প্রভৃতি। শাহীন রেজা’র কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য, পাখিহীন কবিতার লোনা বাসবাস, ছায়া অর্যমায় হরিৎ শালিক, না ক্রোধ না অগ্নি, পাখি চলে গেলে কবি বড় একা, শরতেও মেঘ নামে, অসতর্ক জোছনায়, হরিণ আলোয় কাঁচচোখ, প্রজাপতি ও বালিকারা, যেতে যেতে হতাশায়, যে আকাশ যে সমুদ্র প্রভৃতি।

ব্যক্তিগত জীবনে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত শাহীন রেজা সম্পাদনা করছেন দৈনিক মুক্ততথ্য নামের একটি কাগজ। এছাড়া চিন্তাশীল পাঠকের ম্যাগাজিন ‘বৈচিত্র’ এবং অনলাইন নিউজপোর্টাল বৈচিত্রনিউজ২৪ডটকম-এরও সম্পাদক তিনি। তার সাম্প্রতিক সম্পাদিত কবিতা বিষয়ক পত্রিকার নাম “কবি এবং কবিতা”।

তার সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘রোদবৃষ্টি’ এবং ‘ঘাসফুলপাখি’ বের হচ্ছে অনিয়মিত ভাবে। তিনি একজন নাট্য এবং চিত্রনির্মাতাও। হৃদয় মিডিয়া ভিশনের কর্ণধার শাহীন রেজা তৈরী করেছেন একটি সিনেমাসহ বেশ কিছু নাটক এবং বিজ্ঞাপনচিত্র।

মানবকণ্ঠ/এআইএস