Image

কালিগঞ্জের নলতায় আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলচেষ্টা ও ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ 

বিশেষ প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করে জমি জবরদখলের চেষ্টা ও মৎস্যের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়ার প্রতিকার ও ন্যায়বিচার চেয়েছেন উপজেলার নলতা ইউনিয়নের কাশিবাটি গ্রামের মরহুম গোলাম মোকছেদের ছেলে মুর্শিদ আলম (৪৮)।


ভুক্তভোগী মুর্শিদ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, সাতক্ষীরার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের রায অনুযায়ী প্রকৃত জমির মালিক তিনি। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছেন দেবহাটার নওয়াপাড়া গ্রামের মরহুম জোবেদ সরদারের ছেলে মুনজুর সরদার (৫৫) ও আশরাফুল সরদার (৪৫)। তিনি বলেন,  ২০১৫ সালে তারা আমার নিকট থেকে নওয়াপাড়া মৌজার জে এল ১৮৩, আর এস ৯৫, ১২৪, ১১ ও হাল ২,৩,৬৬,১৮০ দাগের থেকে ৩৩ শতক জমি ক্রয় করেন। সে অনুযায়ী  অদ্যাবধি তারা উক্ত জমি ভোগদখল করে আসছেন। জমি বিক্রির সুবাদে তাদের সাথে আমার সুসম্পর্ক হলে ২০১৭ সালে একটি মৎস্যঘের রেজিষ্ট্রি লিজ ডিড করার নাম করে তারা আমার নিকট থেকে একটি দলিল করে নেয় (দলিল নং ২৩৬৫)। বিষয়টি পরে জানাজানি হলে আমি ওই বিরোধপূর্ণ ৫১ শতক জমির দলিলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করি (মামলা নং ৮৭/২০)। উক্ত দেওয়ানী মামলায় বিবাদীগনের বেদখল, ১৪৫ জারি, উভয়ের মধ্যে রক্তের সম্পর্কহীন ইত্যাদি কারণসহ উপযুক্ততা বিবেচনা করে হেবাবিল এওয়াজ দলিলটি ২০২৩ সালে বাতিল করে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আমার পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদীগণ আদালতে আপিল মামলা করেছেন। কিন্তু সে মামলার আজও পর্যন্ত কোন রায় বা আদেশ হয়নি। মামলার কোন রায় না পেয়ে তারা ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণনাশের হুমকিসহ জমি দখলের হুমকি দিলে আমার ভাই কিবরিয়া মাসুদ কালিগঞ্জ থানায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারী তারিখে থানায় একটি জিডি করেন (জিডি নং-৩৫৪)। যা পুলিশ তদন্ত করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৯/২৫। পরবর্তীতে আবারও হুমকি দিলে আমি একটি জিডি করেছি (নং-৮৬৭ তারিখ-১৯.৪.২৫)


ভুক্তভোগী মুর্শিদ আলম আরও জানান, প্রতিপক্ষরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় কয়েকজন স্বার্থনেষী ও প্রভাবশালীর প্ররোচনায় গত ৮ মে (বৃহস্পতিবার) সকালে হঠাৎ লাঠিসোটাসহ ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে আমার দুই থেকে আড়াই বিঘা জমির একটি মৎস্যঘের দখল করে নিয়েছে। সেখানে আমার প্রায় ৫ লক্ষ টাকার বাগদা ও গলদা মাছের চাষ আছে। খবর পেয়ে আমি ছুটে সেখানে গেলে তারা আমাকে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসে। তারা বলে তোর আদালতের রায় মানি না, আইন আদালত তুই কর। এই মৎস্যঘের এখন থেকে তারা ভোগদখল করবো বলে গালিগালাজ কর। আদালতের রায় অনুযায়ী প্রকৃত জমির মালিক হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্যঘেরটি যাতে চাষাবাদ করতে পারেন এবং প্রতিপক্ষরা যাতে পুনরায় সেখানে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মুর্শিদ আলম।