Image

শ্যামনগরের গাবুরায় ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে বিরোধ, আহত ২

ন্যাশনাল ডেস্ক : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরায় ইন্টারনেট সংযোগ বিরোধে ২ জন কে ব্যাপক মারধর করে মারাত্মক জখম হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্যামনগর থানায় লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন- গাবুরার আবুল কাশেম ঘোরামীর পুত্র মোঃ মহাসিন হোসেন (৬২)।

 

তিনি অভিযোগে জানান, চাঁদনীমুখা গ্রামের হেনা গাজীর পুত্র নাজমুল হোসেন (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে  উঠতী বয়সের বেপরোয়া ও হিংস্র প্রকৃতির যুবক মর্মে অভিযোগ উঠেছে । সে তার সাঙ্গ-পাঙ্গদের নিয়ে অজ্ঞাতনামাদের ছত্র ছায়ায় থেকে এলাকার বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। তার অপকর্মে এলাকার কেহ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না। মহসিন হোসেন "স্টারডাস্ট টেলিকম লিমিটেড" ইন্টারনেট কোম্পানীর সেলস রিটেইল সেলর। ক্যাবল দিয়ে সমগ্র গাবুরা জুড়ে এ কোম্পানীর গ্রাহক সেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু নাজমুল হোসেন কে বা কাহার ইন্ধনে ও সহায়তায় কোম্পানীর রিটেইল সেলর এর শেয়ার অংশীদার দাবী করে আসতে থাকে। মহসিন হোসেন তার প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় সে তার নিকটে টাকা দাবী করে। টাকা দিতে সম্মত না হওয়ায় নাজমুল হোসেন তার সক্রিয় সহযোগী অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে নিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েকবার ক্যাবল কেটে গ্রাহক সেবায় বিঘ্ন ঘটিয়ে মহসিন হোসেনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসতে থাকে। নাজমুল হোসেনসহ তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা বিগত কয়েকদিন পূর্বে চাঁদনীমুখা এম এম হাইস্কুল ও প্রাইমারী স্কুলে ইন্টার নেট সংযোগের তার কেটে তাদের গ্রাহকসেবা থেকে বঞ্চিত করে ক্ষতিগ্রস্থ করে। সে কারনে মহসিন হোসেনের ম্যানেজার গাবুরা গ্রামের মৃত আব্বাস আলী সরদারের পুত্র আব্দুস সামাদ সরদার (৬৫), ০৭/০৯/২০২৫ তারিখ দুপুর অনুমান ১২ দিকে চাঁদনীমুখা এম এম হাইস্কুলে যেয়ে পুনরায় ইন্টারনেট সংযোগের কাজ করাকালে নাজমুল হোসেন সহ তার সাঙ্গ-পাঙ্গ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন  হাজির হয়ে আব্দুস সামাদ সরদারকে স্কুলের ওয়াশরুমের মধ্যে ডেকে নিয়ে যে যার মত এলোপাতাড়ীভাবে চড়, থাপ্পড়, কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন ছোলা ফোলা, থেতলানো ও রক্তজমাট জখম করে। তখন সে জীবন বাঁচানোর তাগিদে জোরে জোরে ডাক চিৎকার করলে স্কুলের কর্তব্যরত শিক্ষক সহ ছাত্র-ছাত্রীরা ছুটে এসে আব্দুস সামাদ সরদার কে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে। তখন তারা শেয়ার না দিয়ে বা টাকা  না দিয়ে এলাকার ইন্টারনেট সংযোগ না দিতে , পুনরায় বিভিন্ন স্থানে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ক্ষতিসাধন করা এবং এ বিষয়ে কোথাও জানালে মেরে খুন জখম করার প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি প্রদান করা অভিযোগ উঠে। আব্দুস সামাদ সরদারকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। থানায় অভিযোগ দায়েরের পরে পুনরায় নাজমুল হোসেন এ ঘটনায় চাঁদনীমূখা গ্রামের বেল্লাল হোসেনের পুত্র ইয়াছিন আলীকে বেদহড়ক মারপিট করলে তাকেও উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। নাজমুল হোসেনকে একাধিক বার ফোন করেও যোগাযোগে না পাওয়ায় তার ভাষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

 

এ ব্যাপারে নাজমুল হোসেন ও তার সহযোগীদের কবল থেকে রক্ষা পেতে যথাযথ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।