Image

শ্যামনগরে মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য!

শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে পরিপত্র অমান্য করে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী ৬/১১/২০২৫ তারিখে নিয়োগ বোর্ড হতে যাচ্ছে। যা সম্প্রতী পরিপত্র বিরোধী।সরকারী পরিপত্র ইং ২৯/০৯/২০২৫ তাং জারিকৃত নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তারক্ষী পদে জিবি কমিটি নিয়োগ পুরাপরি স্থগিত এবং উপধাক্ষ্য নিয়োগ আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত অমান্য করে আগামী ইং৬/১১/২০২৫ তাং নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অটল রেখেছে কলেজ কতৃপক্ষ। যা আইন বা পরিপত্র বিরোধী। কলেজটিতে জিবি কমিটি গঠন সঠিক না হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্ট ২০২৪ আগে যে অভিভাবক প্রতিনিধিই পরে সেই অভিভাবক প্রতিনিধি, ৩ জনঅভিভাবক প্রতিনিধি সদস্যের ২জনই২য় বর্ষের ছাত্র/ছাত্রী মোঃ মুকুলহোসেন (পিতা-গফুর সরদার) কন্যা ইরানী২য় বর্ষ বিজ্ঞান, ফনিন্দ্র মন্ডল ছেলে-সৌরভ ২য় বর্ষ বিজ্ঞান২ জনই ২০২৫-এইচ,এস,সি পরিক্ষা দিয়েছে। যা বিধি বর্হিভূত। এছাড়া অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ পূর্ণাঙ্গ হতে না হতেই সভাপতির মারা যাওয়ার ৫/৭ দিনের পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের চিঠির জন্য অপেক্ষা না করেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। যা বিধি বর্হিভূত। এছাড়া জিবির২জন সদস্য টী, আর শিক্ষক প্রতিনিধি পদত্যাগ না করেই উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন কারী এবং পদেই থেকেই জিবি-র সকল সিদ্ধান্ত গ্রহন করছে। যা বিধি বর্হিভূত। ২০২২ সালে শূন্য হওয়া উপধাক্ষ্য পদটি পুরাতন নিয়মে বিজ্ঞাপন দেন, পদের নাম, পদবী, বেতন স্কেল, শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ না করেই তাং২৪/৫/২০১৫ ইং দৈনিক সমকাল পত্রিকায় (উপধাক্ষ্য, নিরাপত্তা রক্ষীপদে) ১ম বিজ্ঞাপন দেন। কিন্তু সরকারী নিয়মে ৩ ধরনের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি বাতিল হয়। পরে ১ম বিজ্ঞপ্তি বাতিলের রেজুলেশন না করেই২য় বিজ্ঞপ্তি তাং ৮/৭/২০২৫ইং দৈনিক সমকাল পত্রিকায় দেন, ঐ দিনই না দিয়ে তাং১৩/৭/২০২৫ইং অনলাইন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। যা বিধি বর্হিভূত। সশরীরে কোন মিটিং (যাচাই-বাছই, নিয়োগ কমিটি) না করেই২৪/৭/২৫ইং তাং ডিজি প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও জেলা প্রতিনিধি পাওয়ার জন্য তাং২৪/৭/২৫ইং ও ২৩/৯/২৫ইং তারিখে সভাপতি কে ডেকে রেজুলেশন সহি/সই করে নেন, যা বিধি বর্হিভূত। জিবি-র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃআব্দুল কাদের সরদার রেজুলেশনএ সই তার আপন ছোট ভাই অফিস স্টাফ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক সরদার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয় টি অধ্যক্ষ জানা স্বত্তেও কোন প্রতিকার নেননি। নিয়োগের প্রবেশ পত্রে ১৫ কার্যদিবস আগে প্রার্থীর হাতে পৌছনোর কথা থাকলে ও ডাকে তাং ২৩/৯/২৫ইংদেন এবং নিয়োগ পত্র ২৫/৯/২৫ প্রার্থীর হাতে আসে, মোবাইলে এসএমএস আসেনি, ছবিসহ প্রবেশ পত্র না দেওয়া হয়নি,যা বিধি বর্হিভূত।দৈনিক ইত্তেফাক" পত্রিকায়প্রতিবেদন ইং৩০/০৯/২৫ তাংপ্রকাশিত এবং শিক্ষা মন্ত্রালয়ের নির্দেশনা ২৯/০৯/২০২৫ জারিকৃত পরিপত্র মোতাবেক গর্ভনিং বডি কর্তৃক নিরাপত্তা রক্ষীপদে নিয়োগ সম্পূর্ন স্থগিত এবং উপধাক্ষ্যপদে নিয়োগ আপাতত স্থগিত রাখার কথা থাকলেও মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে তাং৬/১১/২৫ইং নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অটল রেখেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।  বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান/সহকারী প্রধান (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার ও সহকারী সুপার)-এর নিয়োগ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর মাধ্যমে করা হবে মর্মে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বর্ণিত অবস্থায়, পরবর্তী নির্দেশনা প্রদান না করা পর্যন্ত সকল বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান/সহকারী প্রধান (অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক, সুপার ও সহকারী সুপার)-এর পদে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হলেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়। অথচ মুন্সিগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ কর্তৃপক্ষ এ সমস্ত পরিপত্র উপেক্ষা করে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্যে অব্যহত রাখায় প্রশ্নবিদ্ধ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে সরকারি বিধিমোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি স্থগিত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।