Image

সৈয়দপুরে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী শোডাউন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সারাদেশে সভা সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। ইতিমধ্যে দলটি তিনশত আসনে তাদের প্রার্থী তালিকাও ঘোষণা করেছে।  

এরপর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দলটির নেতাকর্মীরা। দল ঘোষিত প্রার্থীকে সাথে নিয়ে তারা পাড়া মহল্লা, হাটবাজারে করছেন গণসংযোগ। চাইছেন তাদের দলীয় প্রতিক দাড়িপাল্লায় ভোট। নির্বাচনী দৌড়ে  এগিয়ে থাকতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এরই অংশ হিসেবে নীলফামারীর সৈয়দপুরে দাঁড়িপাল্লা মার্কার সমর্থনে বিশাল নির্বাচনী শোডাউন করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সৈয়দপুর উপজেলা শাখা ওই নির্বাচনী শোডাউন করে।

শহরের বিমানবন্দর সড়কস্থ উপজেলা স্মৃতিসৌধ থেকে শুরু হওয়া মোটরসাইকেল র‍্যালির মাধ্যমে বিশাল শোডাউনটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

এতে নেতৃত্ব দেন আগামি ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও সৈয়দপুর উপজেলা আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম। 

শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বাংলাদেশ জামায়াতে সৈয়দপুর উপজেলা শাখার নায়েবে আমীর ও দল মনোনীত সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মো.শফিকুল ইসলাম,

উপজেলা সেক্রেটারি আলহাজ্ব মাজহারুল ইসলাম, সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র পদে দলের মনোনীত প্রার্থী ও শহর আমীর আলহাজ্ব শরফুদ্দিন খান, শহর সেক্রেটারি মাওলানা ওয়াজেদ আলী, কিশোরগঞ্জ উপজেলা আমীর আব্দুর রশিদ শাহ, নায়েবে আমীর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রকৌশলী আক্তারুজ্জামান বাদল, সেক্রেটারি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফেরদৌস আলম , সহকারী সেক্রেটারি সিব্বির আহমেদসহ সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌরসভার নেতাকর্মীবৃন্দ। 

শোডাউন শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে দলের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিম বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশ ও জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসনের মাধ্যমেই মূলত কল্যাণ সাধন সম্ভব। অন্য কোন তন্ত্র-মন্ত্র ও চেতনাধারীদের দ্বারা দেশের প্রকৃত উন্নয়ন কখনোই হয়না। যা বিগত দিনে বার বার প্রমাণিত হয়েছে। 

দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির দোহাই দিয়ে ইতিহাসের সর্বোচ্চ লুট ও দূর্নীতির রেকর্ড করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশের মানুষ এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে এবং দেশ পরিচালনার সঠিক পথ চিনতে পেরেছে। তাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জীবন দিয়ে ফ্যাসিস্টকে বিদায় করেছে। 

তিনি বলেন, জনগন এখন সৎ নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। যার প্রাথমিক প্রকাশ ঘটেছে ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতেও এর প্রতিফলন ঘটবে এবং সবক্ষেত্রেই দেশপ্রেমিক সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। এজন্য নেতাকর্মীসহ আপামর জনতা সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।