Image

উপজেলা সহকারি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে সৈয়দপুরে ভুমিহীনদের মানববন্ধন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়া তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসন গত ১১ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে নীলফামারীর সৈয়দপুরকে ভুমিহীন উপজেলা ঘোষণা দেওয়া হলেও বাস্তবে এখনও শতশত ভুমিহীন পরিবার রয়েছে। তাদেরই একটি অংশ আশ্রায়ণ প্রকল্পের বাড়ি বরাদ্দ না পাওয়ায় মানববন্ধন করেছে সৈয়দপুরে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের হতদরিদ্র পরিবারের নারী-পুরুষ শহরের শহীদ ডা.জিকরুল হক সড়কস্থ সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধনে প্রকৃত ভুমিহীনদের বরাদ্দ না দিয়ে অনিয়মের মাধ্যমে স্বছল পরিবারকে ওই প্রকল্পের বাড়ি দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার ( ভুমি) আমিনুল ইসলামের অপসারণ দাবি করা হয়েছে।  

মানবন্ধনে বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কিসামত কাদিখোল এলাকার ভুমিহীন সহির আলী ও খোর্দ্দ বোতলাগাড়ির ওমেছা বেগম জানান, আমরা ক শ্রেণির দুস্থ, অসহায় ভূমিহীন পরিবার। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা বহুবার আবেদন করেছি কিন্ত আমাদের আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। সেসময় সঠিক যাচাই বাছাই না করে লোক দেখানো তদন্ত করে উপজেলা প্রশাসন। পরে যাদের জমি ও অর্থ রয়েছে তাদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। ভূমিহীন মিজানূর রহমান, তাহেরা বানু ও আলাউদ্দিন জানান, আমরা প্রকৃত ভূমিহীন হওয়া সত্বেও আমাদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অথচ জমিসহ পাকা বাড়ি রয়েছে এমন স্বচ্ছল মানুষকে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আশ্রায়নে।  ওইসব ঘর পেয়ে কেউ দখলে রেখেছেন কেউবা ঘরেই থাকেন না। এ অবস্থার মধ্যেই সৈয়দপুর উপজেলা প্রশাসন ঢাকঢোল পিটিয়ে গত ১১ জুন সৈয়দপুর উপজেলা কে ভূমিহীন হিসাবে ঘোষণা করেন। অথচ তাদের মতো শত শত পরিবার সৈয়দপুরে ভুমিহীন অবস্থায় রয়েছে। এ জন্য তারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে তদন্ত পূর্বক ঘর বরাদ্দের দাবি জানান। 

এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) আমিনুল ইসলাম জানান, ভূমিহীনদের আবেদন নেওয়ার পর উপজেলা পর্যায়ে কয়েকবার তদন্ত করা হয়েছে। পরে যাচাই বাছাই শেষে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই।