Image

সৈয়দপুরে ঘাস খাওয়ায় গাভীর পায়ের রগ কাটার অভিযোগ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি : সৈয়দপুর শহরের কয়ানিজপাড়ায় বাগানের ঘাস খাওয়ায় হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে একটি গাভীর পায়ের রগ কেটে জখমের অভিযোগ উঠেছে বাগান মালিকের বিরুদ্ধে। কুকুরের ভয়ে প্রতিবেশী বাগান মালিক জাকারিয়ার (৪০) খোলা বাগানে গাভীটি ঢুকে ঘাস খেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওই বর্বরোচিত হামলা চালান। এ ঘটনায় গাভীর মালিক মোছা. ফারজানা বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। 

 

থানায় দেওয়া অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের খেজুরবাগ মুন্সিপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোছা. ফারজানার পালিত একটি গাভী ও বাছুর গত ২২ অক্টোবর সকালে খেজুরবাগ মাঠে বাঁধা ছিল। এ সময় কয়েকটি কুকুর মাঠে গেলে গাভী ও বাছুরটি ভয়ে খুটি উপড়ে পার্শ্ববর্তী কয়ানিজপাড়ার মো. জাকারিয়ার (৪০) খোলা বাগানে ঢুকে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বাগান মালিক জাকারিয়া গাভী ও বাছুরকে আটকে রাখেন।

 

খবর পেয়ে ফারজানা তাঁর পালিত গাভী আনতে গেলে অভিযুক্ত জাকারিয়া তাকে অকথ্য ভাষা প্রয়োগ সহ মারমুখী আচরণ করেন। ভয়ে ফারজানা বাড়ি ফিরে এসে সন্ধ্যায় তার ভগ্নিপতি মো. আব্দুল মজিদকে নিয়ে পুনরায় গাভী আনতে যান। এ সময় জাকারিয়া উত্তেজিত হয়ে তার হাতে থাকা ধারালো হাসয়া দিয়ে গাভীটির পেছনের বাম পায়ে কোপ মারেন। এতে গাভীটির পায়ের রগ কেটে মারাত্মক  জখম হয় এবং সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় গাভীটিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আব্দুল করিমের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

 

জানতে চাইলে ভুক্তভোগী মোছা. ফারজানা বলেন, "সামান্য ভুলের কারণে আমার অবলা প্রাণীটিকে এভাবে কোপানো হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তার অবস্থা ভালো নয়। তার একটা বাছুর আছে সেও দুধ খেতে পারতেছে না। গাভীর চিকিৎসা হচ্ছে তবে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না যে গাভীটি বাঁচবে। তিনি বলেন ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই । এদিকে হাসুয়া দিয়ে গাভীর পায়ের রগ কেটে দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বাগান মালিক জাকারিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মন্তব্য ঝড় ওঠে।

 

এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।