Image

আশাশুনিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে বড়দল ইউনিয়ন চ্যাম্পিয়ন

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : আশাশুনিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (অনুর্ধ ১৭) এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে দরগাহপুর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ন ফাইনালে বড়দল ইউনিয়ন ফুটবল দল ১-০ গোলের ব্যবধানে দরগাহপুর ইউনিয়ন ফুটবল দলকে পরাজিত করে উপজেলা চ্যাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। প্রদান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষ্ণা রায়। বিশেষ অতিথি ও অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল, বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা, দরগাহপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মিরাজ আলী, সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা একেএম মাহবুবুল হক, সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মশিউর রহমান, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক স ম সেলিম রেজা, সমাজ সেবক শেখ মতলুবর রহমান, খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ফিরোজ, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক শেখ আশিকুর রহমান আশিক, দরগাহপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ হিজবুল্লাহ, ইউপি সদস্য শেখ আসাদুজ্জামান মুকুল, শ্রাবন্তী বৈরাগী, সত্য রঞ্জন বৈরাগী ও ফারুক হোসেন আঙ্গুর প্রমুখ। খেলায় সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় বড়দল টিমের রিপন। রেফারি ছিলেন আব্দুল গফফার। সহকারী রেফারী আনিসুর রহমান, এজে আসাদ কানন ও শামু চৌধুরী। খেলা শেষে প্রধান অতিথি ইউএনও কৃষ্ণা রায় অতিথিদের সাথে নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, রানার্স আপ ট্রফি ও শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড়ের পুরস্কার বিতরণ করেন।#

 

বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান চিকিৎসা নিতে ঢাকায় 

#আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউপি চেয়ারম্যান চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ঢাকায় গিয়েছেন। শনিবার দুপুরে তিনি সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

ইউপি চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল হক ডাবলু স্বপরিবারে ঢাকার উদ্দেশ্যে গমনকালে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন। তার অনুপন্থিতির সময়ে প্যানেল চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানাগেছে।

 

আশাশুনি পুজা উদযাপন পরিষদের সাথে বড়দল চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

#বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ আশাশুনি উপজেলা শাখার  নবগঠিত আহ্বায়ক  কমিটির সাথে বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান মতবিনিময় ও ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন। 

আশাশুনি বাজার সদর কালী মন্দিরের সভা কক্ষে পুজা উদযাপন পরিষদের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির প্রথম সভা শেষে বড়দল ইউনিয়নবাসির পক্ষ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান জগদীশ চন্দ্র সানা শুভ কামনা করে সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি ও সদস্য সচিবকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। পরে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। #

 

আশাশুনির সাংবাদিক বাহবুল সাতক্ষীরা মেডিকেলে আইসিইউতে

#আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক বাহবুল হাসনাইনকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আশাশুনি প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের মৃত. লুৎফর সরদারের জৈষ্ঠ্য পুত্র আশাশুনি বাজারের বলাকা স্টুডিও এন্ড ফটোস্ট্যাটের মালিক বাহবুল হাসনাইন বাবুল সাতক্ষীরা থেকে মটর সাইকেল যোগে বাড়ী ফেরার পথে দুর্ঘটনা কবরিত হন। প্রথমে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

আর্থিক ব্যয় সংকটসহ নানাবিধ কারণে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেলে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার আশু রোগমুক্তির জন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে। #

 

আশাশুনির অসহায় পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী ফারহানা'র ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ধোঁয়াশাচ্ছন্ন

# অসহায় গরিব ঘরে জন্মগ্রহণ করলেও থেমে থাকেনি তার লেখাপড়া। হতদরিদ্র পিতা শত কষ্টের মাঝেও মেয়েকে ডাক্তার বানিয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করবে বলে এক বুক আশা বাঁধেন হত দরিদ্র পিতা মিজানুর রহমান। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বড়দল গ্রামের বাসিন্দা হলেও কাজের সন্ধানে খুলনায় বসবাস করেন।

হতদরিদ্র পিতা মিজানুর রহমান কান্না বিজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেন, ২য় দফায় ৩ জুন ২০২৪ তারিখে চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তরে বেসরকারি এমবিবিএস ডাক্তার পদে আবেদন করেন। আবেদন পরবর্তী ২৪ জুন অসহায় পরিবারের কন্যা ফারহানা নিগার সুমি সাউথ অ্যাপোলো মেডিকেল কলেজ, বরিশালের জন্য নিশ্চিত হয়েছে। অসহায় পরিবার সকল সদস্যবৃন্দ ও অসহায় পরিবারের কন্যা ফারহানা ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকলেও মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়াশায় পরিণত হয় তাদের স্বপ্ন। আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন যেন শুধু স্বপ্ন হয়ে আছে। মেডিকেল শিক্ষার্থী ফারহানা নিগার সুমি এ বলেন, আমার পিতা একজন হতদরিদ্র অসহায় মানুষ। তিনি শত কষ্ট করে কামলা খেটে আমাকে লেখাপড়া করিয়াছেন। কিন্তু বর্তমানে মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করানোর মতো আর্থিক সচ্ছলতা তার নেই। তাই তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সমাজের দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং বৃত্তশালী মানুষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

চিকিৎসা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে ২০২৩-২৪ শিক্ষা বর্ষে অনলাইনে সর্বমোট ১৪০৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। যার মধ্যে বিদেশী শিক্ষার্থী ৪৪১জন ও দেশি শিক্ষার্থী ৯৬৩ জন। এরমধ্যে  হতদরিদ্র অসহায় ও মেধাবী কোটায় মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে দেশের মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চান গরিব অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী মেডিকেল শিক্ষার্থী ফারহানা নিগার সুমি।