Image

সৈয়দপুরে পল্লীতে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক পল্লীতে এক শিশু শিক্ষার্থীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।

 

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ধর্ষণের শিকার শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষক মোকছেদ আলী প্রামাণিকের (৫৬) বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। ধর্ষক মোকছেদ আলীর বাড়ি উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী তহশীলদারপাড়ায়। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

থানায় দায়েরকৃত মামলার আর্জি ও এলাকার সুত্র জানায়, উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলী তহশিলদারপাড়ার মৃত. বাছরা প্রামানিকের ছেলে মোকছেদ আলী প্রামানিক (৫৬)।

ঘটনার দিন গত ২৯ আগস্ট বেলা আনুমানিক একটার দিকে ওই শিশু শিক্ষার্থী তার প্রতিবেশি অপর এক শিশুর সঙ্গে বাড়ির পাশে খেলাধুলা করছিল। এরই এক ফাঁকে লম্পট মোকসেদ আলী প্রামাণিক তার বাড়িতে কেউ না থাকায় কৌশলে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে ঘর পরিস্কারের কথা বলে তাকে (শিশুকে) ডেকে নেয়। এরপর সে শিশুটিকে তার বাড়ির শয়নকক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে শিশুটি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই  লম্পট মোকছেদ আলী তাকে জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে তার যৌন আকাঙ্খা পুরণ করতে শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকারের চেষ্টা করলে মোকছেদ আলী তার মুখ চেপে ধরেন। এ সময় ঘরের দরজা খোলা দেখতে  পেয়ে শিশুটির সাথে খেলা করা অপর শিশুটি ওই ঘরের মধ্যে আকস্মিক প্রবেশ করে। এতে করে লম্পট মোকছেদ আলী শিশুটিকে ছেড়ে দেয়। এ অবস্থায় ধর্ষণের শিকার ওই শিশু ঘটনাটি লোকজনকে বলে দেওয়ার কথা বললে ধর্ষক মোকছেদ আলী ওই শিশুকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এরপর বিস্কুট কেনার জন্য ধর্ষনের শিকার শিশুটির হাতে বিশ টাকা ধরিয়ে দেয়। পরে শিশুটি ভয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে চুপচাপ থাকে। গত দুই দিন থেকে শিশুটি কোন কথা না বলা এবং খাওয়া দাওয়া না করায় বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ করেন তাঁর মা। গত রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে শিশুটিকে গোসল করাতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি বুঝতে পারেন তাঁর মা। এরপর শিশুটির মা ঘটনাটি তাঁর স্বামীকে অবগত করেন। এ ঘটনা চাউর হয়ে পড়লে ধর্ষকের পরিবারের লোকজন বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন রকমের প্রলোভন দেখায়। এনিয়ে বৈঠক করার কথা বললে ধর্ষণের শিকার শিশুটির বাবা-মা গতকাল সোমবার সৈয়দপুর থানায় ধর্ষক মোকছেদ আলী প্রামানিকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৯ (১) ধারায়  মামলা করেন। মামলা নং-২,তারিখ: ১-০৯-২০২৫ইং।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল ওয়াদুদ এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।