Image

ঢাবি-জবি শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে ঢাবি শিক্ষার্থী আহত

বাস অভারটেক করাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববদ্যিালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দুটি বাসের মধ্যে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঢাবির এক শিক্ষার্থী চোখে আঘাত পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মিরপুরের সনি সিনেমা হলের সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও চৈতালি বাসের সাধারণ সম্পাদক ঢাবি শিক্ষার্থী মাসুদ রানা জানান, দুটি বাস একত্রে চলছিল। হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আসার পর তারা (জবি) এমন বাজে ভাবে আমাদের বাসকে অভারটেকিং করে যেটার কারণে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী বোন বাসের ভেতর পড়ে যায়। পরে শ্যামলী আসার পর আমরা তাদের থামিয়ে জিজ্ঞেস করি যে এটা কোন ধরণের অভারটেকিং। তখন বাসের এক স্টাফ আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। 

পরে অবশ্যই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিনিয়র ভাই আমাদের বলেন, সরি মিসটেক হয়ে গেছে। আমরা বললাম দোষ করেছে স্টাফ আপনি বড় ভাই সরি বলার কোনো প্রশ্নই আসেনা। পরে অবশ্যই ওই স্টাফ  চাপে পড়ে ক্ষমা চেয়েছে। ব্যাপারটা সেখানেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। 


এর কিছুক্ষণ পরেই আমরা যখন মিরপুর সনি সিনেমা হলের সামনে আসি এবং অনেকে তাদের স্টপেজ এ নেমে যায়। গাড়িতে মাত্র আমাদের ৬-৭ জন ছিল। সেখানে ছাত্রী বোনেরাও ছিল। দুদিক থেকে দুটো বাস আমাদের বাসকে থামিয়ে বলল, তখনতো অনেক লাফালাফি করছ এখন করো দেখি ইত্যাদি। এসব বলার মধ্যেই আমাদের দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে তাদের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী থাপ্পর দেয়। তখন অবস্থা খানিকটা উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। পরে জগন্নাথের সিনিয়ররা এলে সে ছেলেটি পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশও ছিল। 


মাসুদ বলেন, আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করতেছি । আশা করি সমাধান হয়ে যাবে।


এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ছাত্রকল্যাণ ও পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক শামস ই নোমান বলেন, আমি মাত্র বিষয়টি শুনেছি। এখনো বিস্তারিত জানিনি। তবে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ঘটনার সমাধান করার।


ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী বলেন, দুই বাসের ধাক্কাধাক্কি থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে। তখন উভয়পক্ষই মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। এতে একটা ছেলে চোখে আঘাত পেয়েছে। ওরসাথে আমাদের কথা হয়েছে। 

তিনি বলেন, আমাদের কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। তবে, সমাধানে পৌঁছাতে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান প্রক্টর। 

 

মানবকণ্ঠ/এসআর